২০১৫ সালে মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী পিয়া চক্রবর্তীর (Piya Chakraborty) সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বাংলার জনপ্রিয়তম সংগীত পরিচালক এবং সংগীত শিল্পী অনুপম রায় (Anupam Roy)। এটি ছিল অনুপম এবং পিয়ার দ্বিতীয় বিয়ে। এই দু’জনের সুখী দাম্পত্য দেখে চোখ টাটাতো অনেকেরই। এক, দুই বছর নয় ছয় বছরের সুখী দাম্পত্য ছিল তাদের। কিন্তু হঠাৎ করেই সুখের সংসারে ছন্দপতন।
মহামারীর সময়ে টুইট করে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একই পোস্ট করেন পিয়াও। তারা জানিয়েছিলেন এবার থেকে স্বামী স্ত্রী হিসেবে নয় বরং বন্ধু হিসাবেই তারা একে ওপরের পাশে থাকবেন।
তারা লিখেছিলেন, তাদের দুজনের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক মনে রাখার মতোই ছিল। প্রচুর মজা, আনন্দে, সুখে কেটেছে তাদের সময়। কিন্তু বর্তমানে ব্যক্তিগত মতানৈক্য এবং ভাবনায় পার্থক্যের জন্য স্বামী-স্ত্রী হিসাবে তারা আর একসঙ্গে থাকতে পারছেন না।
যদিও গল্প ছিল কিছুটা অন্য। শোনা যাচ্ছিল বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণেই অনুপমের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন পিয়া চক্রবর্তী। অন্যদিকে অনুপম রায়ের সঙ্গে বেশ ভালোই বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের। আর গতকাল সেই বন্ধুর প্রাক্তন স্ত্রীকেই বিয়ে করে নিলেন পরমব্রত। পরম-পিয়ার বিয়ে নিয়ে এখন তোলপার নেট পাড়া।
আরও পড়ুনঃ ফের ভাঙন? প্রেগনেন্সির ঘোষণা করে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসছে দুর্নিবারের স্ত্রী
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তন্ময় ঘোষের সংগঠন ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ’ থেকে ডেউচা পাচামি খনি প্রকল্পে আদিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় তৈরি কমিটিতে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই নাকি একে অপরের কাছাকাছি আসেন পিয়া-পরমব্রত। যদিও সেই সময় গায়ক অনুপম রায়ের ঘরণী ছিলেন পিয়া। আর তা বিলক্ষণ জেনেও বন্ধুর বউকে নিজের প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছিলেন তিনি। আর বন্ধুর ঘর ভেঙে তার বউকে বিয়ে করার জন্য এখন তাকে রীতিমতো কটাক্ষ সহ্য করতে হচ্ছে।