জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“কাগজে কলমে আমাদের বিয়ে হয়নি”— এত বছর লুকিয়ে রাখা সত্যি হঠাৎ প্রকাশ্যে এনে ঠিক কী ইঙ্গিত দিতে চাইছেন প্রান্তিক? সম্পর্ক ভাঙনের পেছনে কি তবে আরও কোনও অজানা কারণ লুকিয়ে রয়েছে?

টলিপাড়ায় সময়টা যেন একেবারেই শান্ত নয়। একের পর এক ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে উঠে আসছে নানা গুঞ্জন, আর দর্শকের কৌতূহল তুঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও হঠাৎ করেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে কিছু পুরোনো ছবি, কিছু নতুন মন্তব্য—যার সূত্র ধরে ফের আলোচনায় এসেছেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা চক্রবর্তী ও অভিনেতা প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ সম্পর্ক, হঠাৎ বিয়ে এবং তার পরের সিদ্ধান্ত—সব মিলিয়ে এই জুটিকে নিয়ে নতুন করে আগ্রহ তৈরি হয়েছে সাধারণ দর্শকের মধ্যে।

শুরুটা ছিল একেবারে স্বাভাবিক—১২ বছরের বন্ধুত্ব। একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানো, একসঙ্গে কাজ, আড্ডা—সব মিলিয়ে সম্পর্কের ভিত ছিল বেশ মজবুতই। সেই বন্ধুত্বই ধীরে ধীরে বদলে যায় আরও গভীর সম্পর্কে। তবে এর পর কীভাবে সবকিছু বদলে গেল? দর্শকদের এই প্রশ্নই এখন সবচেয়ে বড়। কারণ দীর্ঘ সম্পর্কের পর যে জুটি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়, সেই পথেই কি পরে তৈরি হয়েছিল কোনও অস্বস্তি?

জানা যায়, ২০২২ সালে বন্ধুদের সঙ্গে পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে হঠাৎ করেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন অঙ্কিতা–প্রান্তিক। তবে সেই বিয়ে ছিল না প্রচলিত হিন্দুশাস্ত্রমতে। বরং বৈদিক পদ্ধতিতে একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তেই সম্পন্ন হয় তাঁদের বিয়ে। এখানেই তৈরি হয় প্রথম ধোঁয়াশা—বিয়েটা আইনত নিবন্ধিত ছিল না। ঠিক এই জায়গাটিই পরে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে, যখন প্রান্তিক নিজেই জানান, “সেই ভাবে কাগজে কলমে আমাদের বিয়ে হয়নি।”

টলিপাড়ায় আলোড়ন পড়ে যখন প্রান্তিক প্রকাশ্যে জানান যে তাঁরা আর বৈবাহিক সম্পর্কে থাকতে চাইছেন না। তাঁর মতে, “সত্যিটা না জানালে অনেকেই নিজের মতো গল্প বানিয়ে নেয়, তাই সবটা নিজেই জানালাম।” অন্যদিকে অঙ্কিতা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। আনন্দবাজার ডট কম-এ অঙ্কিতা শুধু জানান, “ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কোনও কথা বলতে চাই না।” এই নীরবতাই আবার বাড়িয়ে দেয় রহস্য, আর দর্শক ভাবতে থাকে—তাহলে কি দু’জনের সিদ্ধান্ত এক নয়?

অভিনেতা জানান, সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত এসেছে অনেক ভাবনার পর। তিন বছর পর তাঁদের মনে হয়েছে, একসঙ্গে থাকা আর সম্ভব নয়। তবে কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই—এ কথাও স্পষ্ট করেছেন তিনি। তাঁর ভাষায়, “আমি প্রথম নই, আমিই শেষ নই।” সম্পর্কের শুরু যেমন হঠাৎ ছিল, শেষটাও তেমনিই সরল, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে গড়া। যদিও এই বিষয়ে আর কোনও তথ্য দিতে চান না দু’জনের কেউই। ফলে রহস্যের দরজা এখনো একটু খোলা রয়ে যায়, আর দর্শকের কৌতূহলও অটুট।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page