জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Rachna Banerjee: ভারত সরকারের বেআইনি স্টিকার গাড়িতে লাগিয়ে বিতর্কের স্বীকার রচনা, জানুন বিস্তারিত

রচনা ব্যানার্জী (Rachna Banerjee) মানেই এভারগ্রিন সুন্দরী। কেরিয়ারের শুরু থেকেই কাঁপিয়ে এসেছেন টলিউড ও ওড়িয়া ইন্ডাট্রি। তাঁর সৌন্দর্য ও অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শকরা। তবে অভিনয় থেকে বিদায় নিলেও নিজের সৌন্দর্য ঠিক আগের মতই ধরে রেখেছেন অভিনেত্রী। প্রায় ৫০-এর দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়েও ঠিক আগের মতই রয়েছেন অভিনেত্রী। এই মুহূর্তে তাঁর পরিচিতি জি বাংলার জনপ্রিয় শো ‘দিদি নম্বর ১’-এর ( Didi No. 1)  সৌজন্যে।

বাংলা রিয়েলিটি শোগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় শো। সেলিব্রিটি এপিসোড না হলেও, হিট তাঁর গেম শো। খোলা সাধারণ মানুষ হোক বা কচিকাঁচা। সবাই এসে অংশগ্রহণ করে যান তাঁর শোতে। বাচ্চাদের খেলাতে গিয়ে কখনও কখনও বাচ্চা হয়ে যান দিদি নিজেই। তবে সম্প্রতি বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছেন রচনা।

গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়ার স্টিকার লাগানো গাড়িতে করে একটি মাচা অনুষ্ঠানে এসে বিতর্কের স্বীকার হলেন রচনা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারে আলেয়া ক্লাবে শ্যামা পুজোর অনুষ্ঠানে এসে বিতর্কের মুখে পড়লেন অভিনেত্রী। ১০ই নভেম্বর, শনিবার গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়ার দুটি গাড়িতে করে মাচা প্রোগ্রাম করতে আসেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে জানতে চাওয়া হয়, কেন এই স্টিকার লাগানো গাড়ি ব্যবহার করছেন তিনি? উত্তরে ‘দিদি নম্বর ১’-এর সঞ্চালিকা জানান,’আমি জানি না। উদ্যোগতারা যে গাড়িতে পাঠিয়েছে সের গাড়িতে এসেছি।’

অভিনেত্রীর এহেন মন্তব্যের পর নন্দকুমার আলেয়া ক্লাবের সম্পাদক বিশ্বজিত দত্ত বলেন, অভিনেত্রী “ভুল” বলছেন। তিনি সাফ জানান, ‘আমরা কোনো প্রাইভেট গাড়ি করিনি। অভিনেত্রী ভুল বলছেন। হতে পারে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার তরফ থেকে তিনি গাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু আমাদের তরফ থেকে গাড়ি ঠিক করা হয়নি।”

আরও পড়ুনঃ টিএমসি নাকি বিজেপি? দাদাগিরিতে প্রতিযোগির প্রশ্নে রাজনীতিতে যোগ নিয়ে মুখ খুললেন দাদা

উল্লেখ্য, রচনা যে গাড়িটি ব্যবহার করছেন সেটির ইন্সোরেন্সও ফেল করেছে। রচনার বক্তব্য সামনে আসার পরই, তিনি যে গাড়ি করে এসেছিলেন তাঁর কাগজ খুলে নেয় চালক। কিন্তু টেলিভিশনের অতি জনপ্রিয় মুখ ও সঞ্চালিকার পদে অসীন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এমন বেআইনি করলেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনিক মহলের বিভিন্ন স্তরে।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।