জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“এবার হুগলি থেকে মেট্রো হবে! শাসক দলই রাতদিন নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে মানুষের স্বার্থে!” “বিরোধীরা জনসাধারণকে ভুল পথে চালিত করছে!”—স্পষ্ট কথা রচনার !

হুগলির শাসকদলের সাংসদ তথা অভিনেত্রী ‘রচনা ব্যানার্জি’ (Rachana Banerjee) ফের সরব হলেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। কলকাতায় নতুন মেট্রো রেলের (Kolkata Metro Rail) উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী ‘রভনীত সিং বিট্টু’ দাবি করেছিলেন, সংসদে নাকি বাংলার শাসক দলের কেউই কখনও রেলের উন্নয়ন বা রাজ্যের স্বার্থে কোনও দাবি তোলেননি। সেই বক্তব্যকে ঘিরেই প্রবল প্রতিক্রিয়া জানালেন রচনা।

তিনি কড়া ভাষায় বললেন, “প্রতিমন্ত্রীর কাছে হয়তো সঠিক তথ্য নেই, নইলে এমন মন্তব্য করতেন না। মানুষকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” রচনা ব্যানার্জির দাবি, সংসদে তিনি নিজেই একাধিকবার রেলের নানা সমস্যা এবং প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মুখ খুলেছেন। শুধু তাই নয়, বারবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠিও লিখেছেন। হুগলিতে মেট্রো রেল চালুর প্রসঙ্গ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে তাঁর তরফে বহুবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শুধু রচনাই নন, তাঁর দলের অন্যান্য সাংসদরাও ভিন্ন সময়ে রেলের নানা বিষয়ে সংসদে আওয়াজ তুলেছেন। তাই প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য যে বাস্তবতা থেকে অনেকটাই দূরে বলে মনে করেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে সাংসদ রচনা সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর দেওয়া চিঠি এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের জবাবও তুলে ধরেছেন। তিনি সেখানে বলেন, “যদি রেল প্রতিমন্ত্রী সত্যিই এই রাজ্যের অবস্থা জানতে চাইতেন, তাহলে অন্তত দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতেন।

তাতে প্রকৃত তথ্য হাতে পেতেন এবং বাংলার মাটিতে এসে বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়ানোর প্রয়োজন হতো না।” তাঁর মতে, মন্ত্রীর আসল উদ্দেশ্যই ছিল রাজ্যের শাসক দলকে অপমান করা। রচনা আরও অভিযোগ তোলেন, বিরোধী নেতারা সংসদে হোক বা বাংলার সভামঞ্চে, শুধুই শোরগোল করতে অভ্যস্ত। কিন্তু কাজের ফল নেই। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করান। রচনার কথায়, “বিনিয়োগ বা কর্মসংস্থান— সবকিছু নিয়েই মোদির বড় বড় দাবি থাকলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয় না।

শুধু স্লোগান আর সংখ্যার খেলা নিয়ে মানুষের সামনে আসা হয়। “৪০০ পার” বা “২০০ পার”— এই ধরনের ডায়লগ দিয়েই সীমাবদ্ধ থাকে তাঁরা,” বলে মন্তব্য করেন তিনি। রচনার দাবি, মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করার এই রাজনীতি একদিন ধরা পড়বেই। তিনি বিশ্বাস করেন, তাঁর দলের অন্য সাংসদরাও আগামী দিনে সংসদে উত্থাপিত রেল সংক্রান্ত তথ্য জনসাধারণের সামনে তুলে ধরবেন। সেই সময় মানুষের চোখ খুলে যাবে এবং স্পষ্ট হবে, রাজ্যের স্বার্থে শাসক দলই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

Piya Chanda