Tollywood

এত প্রতিপত্তি, এত টাকা-পয়সা তবু শ্যুটিং শেষে মেট্রো করে বাড়ি ফিরতে হয় রচনাকে! সিক্রেট ফাঁস করলেন সুদীপা! ‘মাটির মানুষ’ বলছে ভক্তরা

‘দিদি নাম্বার ১’ (Didi No 1) মানেই যাঁর কথা সবার মুখে তিনি হলেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মিষ্টি, প্রাণখোলা হাসি ও প্রতিযোগীদের সঙ্গে জমজমাট আড্ডা দেখতে ভারী মজা পান দর্শক। এমনকি তাঁর সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করতেও কেউ কেউ যান ‘দিদি নাম্বার ১’ এ। পাশাপাশি তারকাদের সঙ্গে তাঁর আড্ডা মাতিয়ে রাখেন সকলকে। তাঁর এই শো থেকে তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনের তথ্যও দর্শকদের সামনে আসে, যা নিয়ে সকলে একটু বেশি আগ্রহী। মজাদার খেলা ও জমজমাট গল্প মন ছুঁয়ে যায় সকলের।

অনেকসময়ই নেটিজেনদের অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলে এই শো থেকেই। তাই হয়তো এই শো একটু বেশি প্রিয় সকলের। পাশাপাশি, এই শোয়ের আসল সম্পদ সাধারণ নারী এবং তাঁদের অসাধারণ কাহিনি। এবার কোনও অংশগ্রহণকারীর নয়, গোপন তথ্য সামনে এল খোদ অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর। টলিউড ও বলিউড দুইয়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন তিনি। অমিতাভ বচ্চনের প্রেমিকার চরিত্রে রচনাকে দেখা গিয়েছিল বলিউডের ছবিতেও!

দিদি নম্বর ওয়ান-এ সুদীপা চট্টোপাধ্যায়

বহু ছবি রয়েছে বাংলার নায়কদের সঙ্গে! টলিউডে বিশেষকরে প্রসেনজিতের সঙ্গে সুপারহিট ছিল তাঁর জুটি! দর্শক রচনাকে ছাড়া যেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর শোয়ের কথা ভাবতেই পারেন না! সম্প্রতি ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর একটি শো তুমুল ভাইরাল হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ‘আবার প্রলয়’-এর অভিনেতারা! তাঁদের মধ্যে ছিলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ও! রবিবার বিশেষ এপিসোডে সুদীপা রচনাকে ঘিরে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সকলের সামনে তুলে ধরেন। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে এই বিশেষ তথ্য অনেকেরই অজানা।

রচনার গোপন তথ্য ফাঁস

আমরা জানি, সারাদিন কাজ নিয়েই থাকেন রচনা। সেই সঙ্গে তাঁকে সামলাতে হয় সংসার এবং একমাত্র ছেলে রৌনককেও! সুদীপা জানান, “বেশ কিছু বছর আগের কথা বলছি, আমার পাশেই রচনাদির মেক-আপ রুম ছিল! তা সেখানে একটা বোরখা ঝোলানো থাকত সব সময়! কিন্তু কাউকে সেটা পরতে দেখিনি! আমি একদিন হেয়ার স্টাইলিস্টকে প্রশ্ন করলাম, এই বোরখাটা কে পরে! সে যা বললো তা শুনে তো আমি অবাক!”

সুদীপা আরও জানান, “ওই বোরখাটি রচনাদির। এবং রচনাদি তা পরতেন নিয়মিত। তবে শ্যুটিংয়ের জন্য নয়! শ্যুটিং শেষ হয়ে গেলে রচনাদি ওই বোরখা পরে সেটের গাড়ি করে সেখান থেকে মেট্রো স্টেশনে যেতেন! এবং তারপর মেট্রো করে কালিঘাট যেতেন! এবার কালিঘাটে দিদির নিজেরগাড়ি থাকত, তাতে করে বাড়ি যেতেন। কিন্তু এভাবে কষ্ট করে কেন যেতেন তিনি? যাতে তিনি সময় মতো বাড়ি পৌঁছতে পারেন। গাড়িতে গেলে রাস্তার জ্যামে সময় নষ্ট হবে! বাড়ি ফিরে ছেলে রৌনককে সময়ে পড়াতে বসতে হবে। এই কারণে এতটা কষ্ট করতেন রচনাদি!” কাজের পাশাপাশি সন্তানের প্রতি এতটা যত্নবানের কথা জানতে পেরেই হাততালিতে ভরিয়ে তোলেন সকলে!

Ratna Adhikary