সোশাল মিডিয়ায় একটাই নাম এখন আলোচনার কেন্দ্রে—ঋজু বিশ্বাস। একসময় ‘বউ কথা কও’-এর নিখিল চরিত্রে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেওয়া এই অভিনেতা হঠাৎই হয়ে উঠেছেন নেটিজেনদের রোষের শিকার। কয়েকটি ব্যক্তিগত মেসেজ থেকেই শুরু হয়েছে ঝড়। “শাড়িতে ভালো লাগছে” — এই একটাই বাক্য যেন উল্টে দিল তাঁর কেরিয়ারের গতি। কিন্তু বিতর্ক এখানেই থামেনি, বরং আরও জটিল হয়েছে পরিস্থিতি।
সম্প্রতি এক উঠতি মডেল সমাজ মাধ্যমে ঋজুর সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। অভিযোগ, অভিনেতা ভারচুয়ালি তাঁকে ‘হেনস্তা’ করেছেন। এরপর আরও কিছু মহিলা এবং টলিউডের অভিনেত্রীরাও একই রকম দাবি নিয়ে সামনে আসেন। তাঁরা প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেন একের পর এক চ্যাটের ছবি—প্রায় প্রতিটিতেই একই কথা, “শাড়িতে ভালো লাগছে।” এই কথাগুলোই পরিণত হয়েছে এক তীব্র বিতর্কে। শুরু হয়েছে মিম, কটাক্ষ আর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের ঝড়।
এই বিতর্কের জেরে ঋজুর ব্যক্তিগত জীবনও রেহাই পায়নি এবং তার মাকেও কিন্তু হয়েছে অনেক কটুক্তি। মন্তব্য বিভাগে দেখা গিয়েছে একের পর এক নোংরা কটুক্তি—“ছেলে যেমন, মা-ও তেমন নাকি?” কেউ কেউ আবার লিখেছেন, “মায়ের অসুখ নাকি ছেলে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে।” অথচ জানা গিয়েছে, অভিনেতার মা ক্যানসারে আক্রান্ত। এমন সংবেদনহীন মন্তব্যে ব্যথিত ঋজু নিজেও লাইভে নিজেকে সামলাতে পারেননি। তাঁর কথায়, “আমার মা ভগবানের মতো। ওঁকেও নিয়ে বাজে কথা বলা হচ্ছে, এটা আমি সহ্য করতে পারছি না।”
শেষমেশ ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষমা চাইলেন অভিনেতা। শান্ত গলায় বললেন, “আমি কোনও খারাপ উদ্দেশ্যে মেসেজ করিনি। যদি কারও খারাপ লেগে থাকে, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।” নিজের মাকে নিয়ে হওয়া অপমানের কথা উল্লেখ করে ঋজু আরও যোগ করেন, “গত চার-পাঁচ দিন ধরে যা চলছে, তাতে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। দয়া করে এই বিষয়টা এখানেই থামান।”
আরও পড়ুনঃ ছলচাতুরি, ফাঁদ—কোনও কিছুই আর্য-অপর্ণাকে আলাদা করতে পারেনি!নায়ক-নায়িকার বিয়ে থামাতে শেষ দাওয়াই মীরার! দুর্ধর্ষ পর্ব আসতে চলেছে চিরদিনই তুমি যে আমার-এ
লাইভের পর কেউ সহানুভূতি দেখিয়েছেন, কেউ আবার আগের মতোই আক্রমণ চালিয়ে গিয়েছেন। একাংশের দাবি, ক্ষমা চাওয়া যথেষ্ট নয়—‘মেয়েদের সম্মান করতে শেখা উচিত’। অন্যদিকে, কিছু ভক্ত লিখেছেন, “মানুষ ভুল করতেই পারে, ওর মাকে নিয়ে এমন কথা বলা লজ্জাজনক।” বর্তমানে ঋজু বিশ্বাস ইতিমধ্যেই আইনি পথে পা বাড়িয়েছেন অভিযোগকারিণীর বিরুদ্ধে।
