জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“সমাজমাধ্যমে আমি শুধু পারফর্ম করি! এর থেকে বেশি কিছু করতে পারিনা!” অকপট ঋত্বিক চক্রবর্তী!

‘রান্নাবাটি’ মুক্তির পর থেকেই দর্শকের মনে কৌতূহল— সত্যিই কি রাঁধতে জানেন ঋত্বিক চক্রবর্তী? ছবিতে তাঁকে হাতা-খুন্তি নাড়তে দেখে অনেকেই ভেবেছেন, পর্দার ‘শান্তনু’ হয়তো বাস্তবেও রান্নাঘরে সময় কাটান। অভিনেতা কিন্তু খোলাখুলি জানালেন, “আমি রান্নাবিলাসী নই, তবে একেবারে রাঁধতে পারি না, সেটাও নয়। ছেলের টিফিন অনেক সময় নিজেই বানিয়ে দিই, উপমন্যু কিন্তু ভীষণ পছন্দ করে।”

তবে সম্প্রতি অন্য প্রশ্নে সোশ্যাল মিডিয়া যেন তাঁকে ঘিরে রেখেছে। অনেকেই বলেন, ঋত্বিক নাকি ইচ্ছে করেই বিতর্ক তোলেন! অভিনেতা কিন্তু সে দাবি খারিজ করে হেসে বললেন, “আমার হাতে কাজ কম না বেশি, সেটা আপনি খোঁজ নিন। তবে আমি বিতর্ক ছড়াতে লিখি না। সমাজমাধ্যম আমার কাছে ‘পারফর্ম’ করার জায়গা। দেখি, কীভাবে মানুষ প্রতিক্রিয়া দেন, পারি কি না কিছু নতুন করতে। এর বেশি কিছু নয়।”

‘রান্নাবাটি’-তে বহু বছর পর ফের জুটি বেঁধেছেন প্রতীম ডি গুপ্ত এবং সোহিনী সরকারের সঙ্গে। ২০১৭ সালের পর আবার মাছের ঝোলের গল্পে তাঁদের মিলন। ঋত্বিকের কথায়, “বাঙালির হৃদয় পেট দিয়ে ছোঁয়া যায়— কথাটা ঠিকই। তাই ডাল-ভাত-মাছের ঝোলের প্রসঙ্গ এলেই আবেগ কাজ করে।” তাঁর মতে, “ভালো রান্না যেমন হৃদয় জুড়িয়ে দেয়, খারাপ রান্না কিন্তু দূরত্বও বাড়ায়!”

অভিনেতার পারিবারিক জীবনেও লুকিয়ে আছে অনেক মজার গল্প। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বাবা খুবই বিশৃঙ্খল রান্না করতেন, কিন্তু স্বাদে অদ্ভুত টান থাকত। মায়ের মতো গুছিয়ে রাঁধতে না পারলেও, বাবার তৈরি খাবার খেতে সবাই আঙুল চেটে ফেলতেন। সেই স্মৃতি নিয়েই নাকি পর্দায় তাঁর হাতা-খুন্তি নাড়ার ধরন এত স্বাভাবিক।

আর ‘রান্নাবাটি’-র ছোট্ট সহ-অভিনেত্রী ইদা দাশগুপ্ত সম্পর্কে ঋত্বিকের প্রশংসা থামেনি। তাঁর কথায়, “ইদার রক্তেই অভিনয়। ১৪ বছরের মেয়েটি মাতৃহীন কিশোরীর ভূমিকায় দারুণ বাস্তব অভিনয় করেছে। আমরা ভালো বন্ধু হয়ে গেছি।” আর নায়িকা সোহিনীর প্রসঙ্গে? হেসে বললেন, “ওর সঙ্গে তো আগেই রসায়ন তৈরি হয়ে গিয়েছে! তাই রান্নার দৃশ্য হোক বা আবেগের, সবই সহজে জমে গেল।”

Piya Chanda