জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

স্বামী রুবেলের মৃ’ত্যু দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্ত্রী শ্বেতা! এমন দৃশ্য সামলাতে পারলেন না শাশুড়িও! পর্দায় নিজের অন্তিম মুহূর্ত দেখে কী প্রতিক্রিয়া অভিনেতার?

ধারাবাহিক তুই আমার হিরো–র সাম্প্রতিক বিশেষ পর্ব যেন দর্শকদের হৃদয়ে ঝড় তুলে দিয়েছে। গল্পের মোড়ে নায়ক শাক্য সেন হঠাৎই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত। ফুলের মালা, নামাবলি, কপালে চন্দনের ফোঁটা—অন্তিমশয়ানে রুবেল দাসকে দেখে অনুরাগীরা যেমন বিস্মিত, তেমনই শোকে ডুবে গিয়েছিলেন কিছুক্ষণ। অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো সিরিয়াল শেষের পথে। তবে শেষ দৃশ্যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, শত্রুপক্ষকে ফাঁদে ফেলতেই এই মৃত্যু শুধুই সাজানো নাটক। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে খুশি হয়েছেন দর্শকরা।

কিন্তু এই দৃশ্য কীভাবে সামলালেন রুবেলের পরিবার? বাস্তবে পর্দায় স্বামীকে এমন অবস্থায় দেখতে পারেননি অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য। তিনি স্বীকার করেছেন, তিনিও অভিনেত্রী হলেও রুবেলকে ‘মৃত’ অবস্থায় দেখানোর সময় মনভার সামলানো তাঁর পক্ষে অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল। সেই মুহূর্তে টিভির সামনে আর থাকতে পারেননি তিনি। শ্বেতার মা–রও অবস্থা প্রায় একই—দৃশ্য শুরু হতেই ঘর ছেড়ে অন্য কাজে মন দিয়েছেন, কিন্তু পর্বটি আর দেখেননি।

এ দৃশ্য স্বভাবতই মনে করিয়ে দেয় ২০২১ সালের শ্রীময়ী–র সেই আলোচিত পর্ব, যেখানে টোটা রায়চৌধুরীর চরিত্র রোহিত সেন–এর মৃত্যুদৃশ্যে কেঁদে ফেলেছিলেন অসংখ্য দর্শক। টোটা পরে জানিয়েছিলেন, তাঁর শাশুড়ি এতটাই ব্যথা পেয়েছিলেন যে আঁচ করেই চ্যানেল বদলে ফেলেছিলেন। পেশাদার অভিনেতা টোটা অবশ্য বিষয়টি সহজভাবেই নিয়েছিলেন।

রুবেল দাসও অভিনয়ের এই পর্বকে পেশাদার দৃষ্টিতেই দেখেছেন, তবে স্বীকার করেছেন যে পুরো সিকোয়েন্স শুট করা সহজ ছিল না। তাঁর কথায়, মৃত্যু জীবনের স্বাভাবিক সত্যি—একদিন এমন সৎকারই হবে। তবু বুকের উপরে পুষ্পস্তবক রাখা এবং শরীরে নামাবলি জড়ানোর পরে এক অদ্ভুত অস্বস্তি তাঁকে গ্রাস করেছিল। তাই শুট যত দ্রুত শেষ হয়, ততই স্বস্তি পেয়েছিলেন তিনি।

সবচেয়ে আশ্চর্য তথ্য—পর্বটি প্রচারের পরে রুবেল নিজেও নিজের সেই দৃশ্য আর বসে দেখতে পারেননি। বাস্তবের সঙ্গে reel–এর ব্যবধান কখন যেন মুছে গিয়েছিল। দর্শকদের মতো নায়ক নিজেও অনুভব করেছিলেন মৃত্যুর মুহূর্তের ভার, তফাৎ শুধু—ফ্রেমের বাইরে সেটি আরও গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল তাঁকে।

Piya Chanda