জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বাংলা সিনেমার জয়যাত্রা! রুক্মিনীর মুকুটে নতুন পালক! টলিউডের অন্যান্য সিনেমাকে পিছনে ফেলে IFFI-তে নির্বাচিত ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’! আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাবা–মেয়ের আবেগঘন গল্প কি এবার অভিনেত্রীর জীবনের নতুন মাইলস্টোন হতে চলেছে?

দীর্ঘদিন ধরেই বাংলা সিনেমা দেশ-বিদেশের উৎসবে নিজের জায়গা পাকা করে এসেছে। আঞ্চলিক সিনেমার গণ্ডি পেরিয়ে বাংলার গল্প, বাংলার আবেগ, বাংলার মানুষ আজ আন্তর্জাতিক মঞ্চে সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করছে বিশ্বের দর্শকরা। প্রযুক্তির উন্নতি, গল্প বলার নতুন ভঙ্গি এবং শিল্পীদের নিখুঁত অভিনয়—সব মিলিয়ে ভারতীয় চলচ্চিত্রের মানচিত্রে বাংলা সিনেমা আজ অন্যতম শক্তিশালী স্তম্ভ। সেই ধারাকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেল বাংলা ছবির নতুন সংযোজন ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’।

নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে গোয়ায় অনুষ্ঠিত ৫৬তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল অফ ইন্ডিয়া (IFFI)-তে জায়গা পেল রুক্মিণী মৈত্র ও চিরঞ্জিত চক্রবর্তী অভিনীত এই ছবি। বাংলা সিনেমার জন্য এটি নিঃসন্দেহে বড় সাফল্য। রুক্মিণীর প্রতিটি ছবিতেই অভিনয় দক্ষতা নজর কেড়েছে, আর এবার তিনি বাংলা চলচ্চিত্রকে পৌঁছে দিলেন আরেক আন্তর্জাতিক মঞ্চে। এই সাফল্য আগের থেকে আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে, কারণ এই ছবির আন্তর্জাতিক যাত্রা বাংলা শিল্পকে করেছে আরও গর্বিত।

অর্ণব মিদ্যা পরিচালিত ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ মূলত বাবা-মেয়ের সম্পর্কের টানাপোড়েনের গল্প। চলতি বছর গোয়ার IFFI ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এই ছবির বিশ্বপ্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক দর্শকদের সামনে বাংলা ভাষার আবেগঘন গল্প উঠে এসেছে এই সিনেমার মাধ্যমে।

গল্পের ভিতরে লুকিয়ে আছে সম্পর্কের দূরত্ব, মান-অভিমান, আবার একসঙ্গে ফিরে আসার মানবিক টান। বাবা-মেয়ের জীবনে প্রথম এবং শেষ পদক্ষেপে যে দু’জন দু’জনকে সমর্থন করে, সেই আবেগকেই তুলে ধরেছে সিনেমাটি। কখনও কখনও সেই সম্পর্ক ভেঙেও যায়, আবার জোড়াও লাগে—এই বাস্তবতাকেই স্পর্শ করেছে ছবিটি।

রুক্মিণী ও চিরঞ্জিত ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন অঞ্জনা বসু, তুলিকা বসু, সন্দীপ্তা ভট্টাচার্য, বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রণয় দাশগুপ্তসহ আরও অনেকে। তাঁদের অভিনয় এই গল্পকে আরও জীবন্ত করে তুলেছে। বাংলা সিনেমার নতুন সফল অধ্যায় হিসেবে ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ নিঃসন্দেহে ২০২৫-এর সেরা সিনেমার আলোচনায় থাকবে।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page