জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“চেষ্টা করছি, খুব তাড়াতাড়ি এই শোক কাটিয়ে উঠব।”— প্রিয়জনের চলে যাওয়ায় মানসিক যন্ত্রণায় অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র! কাকে হারিয়ে শোক মোকাবিলার চেষ্টা করছেন দেবের বিশেষ বান্ধবী?

টলিউডের মেগাস্টার দেবের (Dev) বিশেষ বন্ধু ‘রুক্মিণী মৈত্র’ (Rukmini Maitra) -এর জীবনে নেমেছে গভীর শোকের ছায়া! সম্প্রতি দেব ও রুক্মিণীর সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা গেলেও, অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনে প্রেমিকের উপস্থিতি স্পষ্ট। জন্মদিনের মুহূর্ত থেকে শুরু করে আনন্দের সব মুহূর্তে তাঁরা একসঙ্গেই ছিলেন। এমনকি দেবের আসন্ন ছবি ‘ধূমকেতু’ (Dhumketu) নিয়ে রুক্মিণীর উচ্ছ্বাসও প্রকাশ পেয়েছে সমাজ মাধ্যমে। ছবির গান থেকে শুরু করে প্রচার, সবেতেই তিনি সঙ্গ দিয়েছেন।

একাধিক সাক্ষাৎকারে রুক্মিণী জানিয়েছেন, এই ছবির জন্য দেবের দীর্ঘদিনের পরিশ্রম ও লড়াইয়ের তিনি সাক্ষী। কাজের ক্ষেত্রেও রুক্মিণী এই বছরের শুরু থেকেই বেশ আলোচনায় ছিলেন। চলতি বছরের প্রথমেই মুক্তি পেয়েছে তাঁর ‘বিনোদিনী—একটি নটীর উপাখ্যান’, যা বক্স অফিসে বেশ সাফল্য পেয়েছে। তবে মুক্তির কিছু দিনের মধ্যেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। ভীষণ জ্বরে কাবু হয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। অসুস্থতার মাঝেও তিনি হাল ছাড়েননি, শুটিংয়ের সময় গুরুতর অসুস্থতা ও পায়ে চোট পাওয়া সত্ত্বেও নাচের দৃশ্য শেষ করেছিলেন।

rukmini maitra

যাতে প্রযোজনার কাজে কোনও বিঘ্ন না ঘটে। তাঁর এই পেশাদার মনোভাব শিল্পীসুলভ দৃঢ়তারই প্রমাণ। তবে, বছরের মাঝামাঝি এসে ঘটে গেল এক বড় অঘটন! সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন অভিনেত্রীর দাদু। কাছের মানুষের এই প্রয়াণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী ও তাঁর পরিবার। দাদুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল ভীষণ ঘনিষ্ঠ, সাফল্যের মুহূর্ত হোক বা বছরের বিশেষ কোনও দিনের উদযাপন, রুক্মিণীর জীবনের প্রতিটি খুশিতে তিনি ছিলেন উপস্থিত। সেই মানুষটিকে হারিয়ে আজ নিজেকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন রুক্মিণী।

যদিও এই শোকের ভার এখনও তীব্র। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেছেন, এই মুহূর্তে তাঁর পরিবারকে নিয়েই জীবন আবর্তিত, আর তাই প্রিয়জনের চলে যাওয়াতে এই শূন্যতা নিয়ে বাঁচা, তাঁর জন্য এক কঠিন লড়াই। এই মুহূর্তে রুক্মিণীর মানসিক শক্তির বড় ভরসা তাঁর মা, মধুমিতা মৈত্র। বাবার মৃত্যুর পর যেভাবে মা তাঁকে ভেঙে পড়া অবস্থা থেকে তুলে এনে নতুন করে দাঁড়াতে সাহায্য করেছিলেন, সেটাই আজ আবার বড় প্রেরণা। তখনও শোক সামলে শুটিং ফ্লোরে ফিরে আসতে পেরেছিলেন মায়ের সাহসে ভর করে।

তাই দাদুর মৃত্যুর পরও মা-ই আজ তাঁর মানসিক সমর্থনের প্রধান উৎস। উল্লেখ্য, এর আগের বছর পুজোয় মুক্তি পেয়েছিল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘টেক্কা’, যেখানে এক দাপুটে পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করে দর্শকমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তিনি। চরিত্রের লুক থেকে শুরু করে সংলাপ বলার ভঙ্গি— সবেতেই ছিল নতুনত্ব। ব্যক্তিগত জীবনে শোক ও অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করেও, রুক্মিণীর পেশাদারিত্ব ও শক্ত মনোবল আজ তাঁকে টলিউডের অন্যতম শক্তিশালী মুখ হিসেবে চিনিয়ে দিচ্ছে। আমাদের কামনা, দ্রুত এই গভীর শোক কাটিয়ে উঠবেন তিনি।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Ratna Adhikary