জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

দেখতে দেখতে চার মাস হয়ে গেল বাবা নেই, ‘তুমি নেই তাই আমি আর দুষ্টুমি করি না’ প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি লিখল মেয়ে সাইনা! চোখে জল নেটিজেনদের

সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন বিশিষ্ট বাঙালি অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। অভিষেকের এই অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি ইন্ডাস্ট্রিসহ তাঁর পরিবার আত্মীয়-স্বজনরা। আর মেনে নেবেই বা কি করে? মৃত্যুর আগের দিন অবধি যিনি জলজ্যান্ত শুটিং করে গিয়েছেন তিনি যে ঠিক পরের দিনই এভাবে চলে যাবেন চিরতরে তা কি কেউ ভাবতে পেরেছিল?

অভিষেক চলে গিয়েছেন কিন্তু রেখে গিয়েছেন তার স্ত্রী এবং একমাত্র কন্যা সাইনাকে। গতকাল ছিল সাইনার বাবাকে ছাড়া প্রথম পিতৃদিবস। এই বিশেষ দিনে প্রয়াত অভিনেতা এবং সাইনার বাবা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি লিখল কন্যা সাইনা চট্টোপাধ্যায়।

এই প্রথম অভিষেক-কন্যা অনুভব করল সবকিছু একই রয়েছে। মা আছে সে আছে কিন্তু বাবা নেই তার। সে এখন মনে মনে ভেবে নিয়েছে তারা যে দেশে চলে গিয়েছে বাবা কিন্তু তবুও মনে হচ্ছে বাবা যদি আসে তার সঙ্গে থাকত! এ বিশেষ দিন কে কেন্দ্র করে অনেক প্ল্যান রয়েছে সাইনার মনে। একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করত তারা। নিজের হাতে প্রতিবারের মত বাবাকে কিছু বানিয়ে উপহার দিত অবশ্যই। বাবার পছন্দের মাছের একটি পদ অর্ডার দিত বাবা। বাবার মতই খাদ্য রসিক সাইনা বাবার সঙ্গে বসে জমিয়ে খেত। একসঙ্গে সেই খাওয়া-দাওয়া হয়তো হবে না তবে সাইনা প্রতি মুহূর্ত অনুভব করে যে তার বাবা তার সঙ্গেই আছে।
1655630694 father 2

চাইনা মাঝে মাঝেই ভাবে তার বাবা থাকলে এটা করতে ওটা করত সে। মাথায় হেয়ারব্যান্ড পরিয়ে মেয়ে সাজিয়ে দিত। কতবার বাবাকে চুল বেঁধে দিয়ে মেয়েদের মত সাজিয়েছে সে।

বাবা নেই বলে এখন কম দুষ্টুমি করে সাইনা। মা সারাক্ষণ চেষ্টা করছে মেয়ে যাতে ভালো থাকে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় বাবাকে আরো বেশি করে মনে পড়ে সাইনার। সেই গল্প বলা, মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া। নিজে সকলকে খাইয়ে তারপর খেতে বসতেন প্রয়াত অভিনেতা। বাড়ির ছোট-বড় যে কোন সিদ্ধান্ত যিনি নিতেন তাঁর জায়গায় এখন সাইনার মা একইভাবে কাজগুলি করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

এখন বাবার একমাত্র মেয়ে বাবার মতোই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। বাবার মতো শুটিংয়ে যাবে সে, ক্যামেরায় শট দেবে। সাইনার চোখে তার বাবা সর্বশ্রেষ্ঠ।

Piya Chanda