২০ নভেম্বর ধনধান্য অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে টেলিভিশন দুনিয়ার অন্যতম সম্মানজনক অনুষ্ঠান টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড। জমজমাট আবহ, আলো–ঝলকানি আর তারকাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি পরিণত হয়েছিল এক উৎসবের রাতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি সন্ধ্যার মাহাত্ম্য আরও বাড়িয়ে দেয়। পুরস্কার মঞ্চ ভরে উঠেছিল উচ্ছ্বাস, সাফল্য ও সৃজনশীলতার উদযাপনে।
টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাটা’–য় অভিনয় করে শ্রুতি দাস ও আরাত্রিকা মাইতি ইতিমধ্যেই দর্শকের মন জয় করেছেন। চরিত্রে স্বাভাবিকতার ছোঁয়া, অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি এবং পরিশ্রম—সব মিলিয়ে তাঁরা ছোটপর্দার অন্যতম প্রিয় মুখে পরিণত হয়েছেন। তাই মঞ্চে তাঁদের দেখা মাত্রই দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল তুঙ্গে।
সেরা জুটি বিভাগে সম্মান জিতে নিয়েছেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস ও আরাত্রিকা মাইতি। সেই ঘোষণার পর তাঁদের মুখে ফুটে ওঠে উচ্ছ্বাস। পাশে থাকা পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার—যিনি শ্রুতির স্বামী—সোজাসুজি জানান, “ওরা দু’জনেই দুর্দান্ত কাজ করে, বরং আরও আগেই এমন স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য ছিল।” তাঁর কথায় স্ত্রীকে নিয়ে গর্বের ছাপ স্পষ্টই ধরা পড়ে।
আরও পড়ুনঃ জি বাংলার সময়সূচিতে বিরাট রদবদল! ‘তারে ধরি ধরি মনে করি’ ও ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি’ শুরুর আগেই, কোপ পড়ছে ‘আনন্দী’র ঘাড়ে! রাত ১০:১৫-এর স্লটে এবার থেকে ‘জগদ্ধাত্রী’, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহেই কি বিদায়ের নিচ্ছে ‘আনন্দী’?
শুধু অভিনয়ের প্রশংসাই নয়, স্বর্ণেন্দু হাসতে হাসতেই বলেন যে এবার তাঁর ট্রিট নেওয়ার পালা। কথাটা শুনেই শ্রুতি তৎক্ষণাৎ মজার ছলে বলে ওঠেন—আজ রাতেই তাঁকে খাওয়ানোর দায়িত্ব তাঁর। পাশে থাকা আরাত্রিকাও থামেননি, পরিচালকের প্রশ্নে হেসেই বলেন—দিনটা এত ভালো গেছে, তিনিও নাকি আজই ট্রিট দিতে প্রস্তুত। এই বন্ধুত্বপূর্ণ রসিকতা মঞ্চের পরিবেশকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
শেষমেশ স্বর্ণেন্দুও হেসে বলেন যে তিনি নাকি দুইজনের কাছ থেকেই ট্রিট নেবেন। পুরস্কার হাতে পাওয়া, শিল্পীদের বন্ধুত্ব, আর অফস্ক্রিন মজার মুহূর্তে সেই রাতটি আরও স্মরণীয় হয়ে ওঠে।
