জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“অভিনয় করেই আমার সংসার চলে, কিন্তু পর্দায় ডাক পাইনা অনেকদিন, মধ্যবিত্ত পরিবারে আমিই একমাত্র রোজগেরে সদস্য!”— পর্দার আড়ালে নীরব যন্ত্রণায় কাঁদছেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় নায়িকা!

বিনোদন জগতের (Entertainment Industry) রঙিন দুনিয়ায় প্রতিদিন যেমন নতুন মুখের আগমন ঘটে, তেমনই কিছু চেনা মুখ ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় (Disappeared) দর্শকের অজান্তেই। কেউ নিজে থেকে বিরতি নেন, কেউ আবার পরিস্থিতির চাপে কাজ থেকে সরে আসেন। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু মুখ এমন থাকে, যাদের অনুপস্থিতি দর্শকদের ভাবায়, কারণ তাঁদের অভিনয়ের (Acting) এক আলাদা বাস্তব ফুটিয়ে তোলার দক্ষতা আর অসামান্য অভিনয়। হঠাৎ করেই যখন এমন কাউকে আর পর্দায় (Screen) দেখা যায় না, স্বাভাবিকভাবে দর্শকের মনে প্রশ্ন ওঠে তাদের অস্তিত্ব নিয়ে।

কথা হচ্ছে এমনি এক কনিষ্ঠ মুখ নিয়ে, যিনি প্রথমবারেই পর্দায় এসেই মন কেড়েছিলেন আপামর দর্শকের। কিন্তু এই শুরুর জার্নিটা একেবারেই সহজ ছিল না। কেরিয়ারের গোড়াতেই শুনতে হয়েছে নানা কথা, এমনকি নিজের শরীর, চেহারা, গায়ের রঙ—সবকিছু নিয়েই শুনতে হয়েছে কটাক্ষ। অডিশনের ঘরে প্রশ্ন উঠেছে তাঁর যোগ্যতা নয়, বরং তাঁর গায়ের রঙের ভিত্তিতে। তারপর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়েও শিকার হতে হয়েছে ইন্ডাস্ট্রির অনেকের কটাক্ষের।

তাঁর লড়াইটা ছিল অনেকটাই নীরব কিন্তু তীক্ষ্ণ। নিজের প্রতি বিশ্বাস এবং অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসাই তাঁকে ধরে রেখেছে এই ইন্ডাস্ট্রিতে। কিছু মানুষের কথা মনে গেঁথে গেলেও থামাননি নিজের কাজ, বরং অপেক্ষা করেছেন সেই সময়টার জন্য যখন তিনি নিজের কাজেই প্রমাণ করে দিতে পারবেন নিজের জায়গাটা। যেচেই প্রত্যাখ্যান করেছেন কিছু সুযোগ, যেগুলো মনে করেছেন নিজের অযোগ্য। এমন সাহস আর কজন দেখাতে পারেন?

কারণ তাঁর কাছে অভিনয় মানে শুধুমাত্র স্ক্রিনটাইম নয়, বরং প্রতিটি চরিত্রে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার মতো একটা গভীর দায়িত্ব। এই শিল্পী আর কেউ নন, অভিনেত্রী ‘শ্রুতি দাস’ (Shruti Das)। ছোটপর্দায় যাঁর যাত্রা শুরু হয় জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ত্রিনয়নী’-র হাত ধরে। এরপর ‘রাঙা বউ’-তে কাজ করার পর দীর্ঘদিন তাঁকে আর ছোট পর্দায় দেখা যায়নি। তবে বড়পর্দা ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে টেলিভিশনের প্রতি তাঁর দূরত্বের কারণ জানিয়েছেন।

অভিনেত্রী বলেন, বিগত দেড় বছরে কোনও ধারাবাহিকের সুযোগ মেলেনি অথবা যা মিলেছে তাতে নিজেকে সেই চরিত্রের উপযুক্ত মনে হয়নি। তিনি বলেন ২০২৪ সালে বেশ কিছু কাজ করলেও, সেগুলি মুক্তি পাচ্ছে ২০২৫-এ। আর এই সময়টা তাঁর কাছে যেমন আনন্দের, তেমনই মানসিক টানাপোড়েনের। কারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য হিসেবে তাঁর কাঁধে রয়েছে অনেক দায়িত্ব। তবে শ্রুতি জানেন, প্রতিটি লড়াইয়ের শেষে আসে আলো, আর তিনি সেই আলোর দিকেই এগোচ্ছেন।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page