ছোট পর্দার অভিনেত্রী ‘অঙ্কিতা মল্লিক’ (Ankita Mallick) আজ সকলের কাছে ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagaddhatri) নামেই পরিচিত। টেলিভিশনের পর্দায় এই নামটা যেন এখন ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছে দর্শকদের কাছে। কিন্তু অঙ্কিতা এই জনপ্রিয়তা রাতারাতি আসেনি। তার পেছনে রয়েছে অনেক লড়াই, অনেক প্রতীক্ষা এবং অবশেষে সুযোগ পাওয়ার পর সেই সুযোগকে নিখুঁতভাবে কাজে লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা।
অঙ্কিতার অভিনয়ের যাত্রাটা খুব একটা সহজ ছিল না। কেরিয়ারের শুরুতে অঙ্কিতা একটি ধারাবাহিকে পার্শ্ব চরিত্রে কাজ করেছিলেন, তখন দর্শকের নজরে আসার তেমন সুযোগই পাননি। এরপর এক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে তাঁকে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। লুক টেস্ট পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু শুটিংয়ের আগের দিন তাঁকে জানানো হয়, তিনি বাদ পড়েছেন!

হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে চুড়ান্ত হতাশ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী, এমনকি নিজের প্রতি সমস্ত আস্থা হারাতে বসেছিলেন তিনি। ভাবছিলেন, হয়তো অভিনয়ের স্বপ্ন ছেড়ে দিয়ে আবার মডেলিংয়ে ফিরতে হবে। তবে ভাগ্য হয়তো অপেক্ষা করছিল আরও বড় কিছুর জন্য। একের পর এক অডিশন, পরপর প্রত্যাখ্যানের মধ্যেও একদিন তিনি এসে পৌঁছন স্নেহাশিস চক্রবর্তীর অফিসে।
সেখানেই তাঁর অভিনয় জীবনের মোড় ঘুরে যায়। অভিনেত্রী বলেন, স্নেহাশিসদা তাঁকে শুধু একটি চরিত্র দেননি, দিয়েছিলেন সম্পুর্ণ বিশ্বাস। ‘জগদ্ধাত্রী’ হিসেবে তিনিই অঙ্কিতাকে অভিনয় শিখিয়েছিলেন, আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিলেন, এবং পর্দায় তুলে এনেছিলেন এক সাবলীল অভিনেত্রীকে। আজ ‘জগদ্ধাত্রী’ ধারাবাহিকের নায়িকা হিসাবে অঙ্কিতা মল্লিক শুধুই জনপ্রিয় নন, তিনি প্রমাণ করেছেন সুযোগ পেলে কতটা সফল হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ‘স্টেশনে বাবার স্ট্রোক, আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না’, কঠিন সময়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন অভিনেতা সুমন দে!
অঙ্কিতা নিজে বলেন, সেই ধারাবাহিক থেকে বাদ পড়াই ছিল তাঁর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। অঙ্কিতা বিশ্বাস করেন, “যা হয়, সেটা ভালোর জন্যই হয়।” আর সেই ব্যর্থতাই তাঁকে তৈরি করেছে আজকের ‘জগদ্ধাত্রী’ রূপে। এটি কেবল একজন অভিনেত্রীর সাফল্যের গল্প নয়, এটি এক অনুপ্রেরণার গল্প। যাঁরা জীবনে প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি হয়েছেন, তাঁদের জন্য অঙ্কিতার পথ চলা অনুপ্রেরণার নাম।