নামেই তার পরিচয়। তিনি হলেন মিঠুন চক্রবর্তী। বাংলার দাদা তিনি। বলিউড এবং টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে একসময় চলেছে তার রাজত্ব। নাচ, রোমান্স, অভিনয় সবকিছুতেই সিদ্ধহস্ত। এক সময়ে তাকে বলিউডে জায়গা করে নেওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। মাটি আঁকড়ে পড়ে ছিলেন আর তাই আজ ছোট বড় বা সমবয়সী সকলের কাছেই এক শিক্ষনীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে রয়েছেন মিঠুন।

একটা সময় বাবা যেমন স্টাইল করেছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে ধরে রাখতে এখন সেই একই পরিমাণ লড়াই বা সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তার সুযোগ্য পুত্রকে। তিনি হলেন মহাক্ষয় চক্রবর্তী ওরফে মিমো। মিঠুনের বড় ছেলে তিনি।
মিমো তার অভিনয় জীবনের যাত্রা শুরু করেন জিমি ছবির মধ্যে দিয়ে। ছবিতে তাকে বাবার মতই অসাধারন নাচ করে মানুষের মন জয় করতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বাবার ধারে কাছে টিকতে পারেননি তিনি। প্রথম ছবিই মুখ থুবড়ে পড়েছে বলিউডে। তারপরে কেটে গেছে ১৪ বছর। আরেকটিবারের জন্যও কোন সিনেমায় দেখা যায়নি মিমোকে।

তবে একদিকে ভালো খবর কারণ নিজের উপর বিশ্বাস হারাননি তিনি। নিজের কঠোর পরিশ্রম এবং জেদের মাধ্যমে আজও ইন্ডাস্ট্রিতে অডিশন দিয়ে চলেছেন মিমো। আজও পাঁচজন সাধারণ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মতোই পরিচালকদের দরজায় দরজায় ঘুরে কাজ খুঁজে বেড়াচ্ছেন এক সুপারস্টারের ছেলে।
এই যুগে যেখানে নেপোটিজম নিয়ে মানুষ ক্রমাগত আক্রমণ করে যায় তারকা সন্তানদের সেখানে মিমো অন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। তিনি যে ক্রমাগত যুদ্ধ করে চলেছেন তার প্রমাণ তিনি দিয়েছেন এক সাক্ষাৎকারে।
এক সাক্ষাৎকারে মিঠুনের বড় ছেলে মহক্ষয় জানিয়েছিলেন সুপারস্টারের ছেলে হয়েও বলিউডে পা রাখাটা তার জন্য সহজ ছিল না। জিমি আসার প্রায় ১৪ বছর হয়ে গেছে এবং এখনও তিনি একজন অভিনেতা হিসাবে এখানে তার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য জমি খুঁজছেন। এত বছর ধরে তার একটা ভিন্ন যুদ্ধ ছিল, যেটা তিনি নিজের সঙ্গেই লড়ছিলেন। প্রতিদিন নিজেকে বলতেন মিমো, তোমাকে ধৈর্য ধরতে হবে, কোন জাদু হবে না। সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

তবে বাবা-মা দুজনেই ২ সুপারস্টার অভিনেতা অভিনেত্রী হওয়ায় অনেকেই মনে করে যে ছেলেদের সিনেমা জগতে কাজ পেতে হয়তো সমস্যা হবে না। সকলেই ভাবে তিনি অভিনয় জগতের পরিবারের ছেলে তাই তার পক্ষে কাজ পেতে অসুবিধা হবে না। কিন্তু আসল খবর কেউ রাখে না। কিন্তু যত সময় লাগুক না কেনো তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন অ্যাচিভ করেই ছাড়বেন।
