জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বাংলা বিনোদন জগতে নতুন চমক! গায়কের সঙ্গে এক মঞ্চে বাজবে বাঁশির সুর, খুদে শিল্পীদের যুগলবন্দিতে মঞ্চ কাঁপাতে আসছে ‘সোনার জলসাঘর’!

জি বাংলা মানেই বাঙালির বিনোদনের ঘরোয়া ঠিকানা। ধারাবাহিক হোক বা রিয়ালিটি শো—এই চ্যানেল বরাবরই দর্শকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। এবার সেই পথেই নতুন চমক আনতে চলেছে জি বাংলা সিনেমা। সম্প্রতি একটি প্রোমো প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু ঠিক কী নিয়ে আসছে এই নতুন শো? সেই কৌতূহলই এখন দর্শকমহলে চরমে।

প্রকাশ্যে আসা নতুন প্রোমোর শুরুতেই দেখা গেল এক ছোট্ট বাঁশিবাদককে—অভি কাশ্যপ শর্মা, যিনি তার সুরে এক অনন্য যাত্রার সূচনা করছেন। তার সঙ্গে গায়ক হিসেবে মঞ্চে হাজির হচ্ছে আরও এক খুদে তারকা। ছোট শিল্পীদের এই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন পরিচিত মুখরা। অভিকে তুলে ধরছেন গায়িকা অদিতি মুন্সি এবং গায়িকা পৌষালী গোস্বামী পরিচয় করাচ্ছেন আরও এক প্রতিভাবান খুদে—আরাধ্যা মজুমদারকে।

এই অনুষ্ঠান আর পাঁচটা সাধারণ সঙ্গীত প্রতিযোগিতার মতো নয়। এখানে গায়কের পাশে থাকবেন এক খুদে বাদ্যকারও। অর্থাৎ, এক মঞ্চে গানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বাজবে বেহালা, বাঁশি কিংবা তবলার তালে তাল। এই যুগলবন্দি উপস্থাপনা গোটা অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন সংগীতপ্রেমীরা।

এই গানের রিয়ালিটি শো’য়ের প্রধান গুরু বা বিচারকের আসনে থাকছেন প্রখ্যাত তবলা শিল্পী পন্ডিত তন্ময় বোস। এছাড়াও থাকবেন পাঁচজন বিশিষ্ট মহিলা বিচারক, যার মধ্যে অদিতি মুন্সি ও পৌষালী গোস্বামীর উপস্থিতি ইতিমধ্যেই নিশ্চিত। বাকি তিন বিচারকের নাম যদিও এখনও প্রকাশ্যে আসেনি, তবে জল্পনা তুঙ্গে।

যদিও প্রোমো দেখে বোঝা যাচ্ছে, সপ্তাহে তিন দিন সম্প্রচারিত হবে এই শো। কিন্তু কোন তিন দিন এবং ঠিক কোন সময়ে অনুষ্ঠানটি টেলিকাস্ট হবে, তা এখনও পর্যন্ত ঘোষণা করেনি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। তবে দর্শকদের মতে, জি বাংলার সারেগামাপা’র মতোই এটি হয়ে উঠতে চলেছে একটি আকর্ষণীয় মিউজিক্যাল যাত্রা, যা নজর কাড়বে প্রতিটি বয়সের দর্শকদেরই। নতুন প্রজন্মের প্রতিভা তুলে ধরতেই যে এই আয়োজন, তা বলাই বাহুল্য।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।