বর্তমানে টলিপাড়ায় সবচেয়ে বেশি চর্চিত বিষয় উচ্ছেবাবু এবং দিদিয়ার বিয়ে। ৯ মে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন আদৃত রায় (Adrit Roy) এবং কৌশাম্বী চক্রবর্তী (Kaushambi Chakraborty)। দক্ষিণ কলকাতার একটি ব্যাঙ্কোয়েটে বসেছিল রিসেপশন পার্টি। উপস্থিত ছিলেন টলিপাড়ার জনপ্রিয় তারকরা। বিয়ে হোক বা রিসেপশন পার্টি, অভিনেতার বিয়ের এলাহী আয়োজন দেখে হতবাক হয়েছিলেন নেটিজেনরা।
বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হতেই গোয়াতে গিয়ে মধুচন্দ্রিমাও সেরে ফেলেছেন তারা। স্বামীর হাতে হাত দিয়ে সেই ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। কখনও গোয়ার বিখ্যাত আগুয়ারা দুর্গে আবার কখনও সমুদ্রের ধারে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার করার সময় সেই বিশেষ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছেন কৌশাম্বী। তারই মাঝে ছিল অভিনেতার জন্মদিন। বিয়ের এবং জন্মদিন একমাসে। স্বামীর সঙ্গে তোলা কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে আদুরে বার্তা দিয়েছেন কৌশাম্বী।
সেই মিঠাই ধারাবাহিকের সময় থেকে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন আদৃত- কৌশাম্বী। ধারাবাহিকে আদৃতের দিদির চরিত্রে দেখা গিয়েছিল কৌশাম্বীকে। ধারাবাহিকে শেষ হয়ে যাওয়ার পর বাস্তবে তার সঙ্গেই গাঁটছড়া বেঁধেছেন অভিনেতা। তবে তাদের প্রেম হোক বা বিয়ে, যার নাম বারবার আদৃতের সঙ্গে জড়িয়েছে তিনি অভিনেত্রী সৌমীতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundoo)। পর্দায় উচ্ছেবাবু এবং মিঠাইয়ের জুটি একসময় রাজত্ব করছে ছোটপর্দায়। তবে টিআরপিতে নম্বর ১এ থাকা ধারাবাহিকটির হঠাৎই বিদায় নেয় পর্দা থেকে। এই বিষয়ে খোলসা করে এই বিষয়ে কেউ কিছু না বললেও ভেসে এসেছে অন্য কাহিনী। অনেকেই বলেছেন নষ্ট হয়ে গেছে আদৃত সৌমীতৃষার বন্ধুত্ব। ভাঙন ধরেছে তাদের সম্পর্ক। ধারাবাহিকের শেষের দিকে নাকি একে অপরের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতেও স্বচ্ছন্দ বোধ করতেন না তারা।
আরও পড়ুনঃ নায়িকা থেকে হয়ে উঠেছেন খলনায়িকা! তার চরিত্র দেখে ছিছিকার নেট দুনিয়ায়! কেন আচমকা এমন সিদ্ধান্ত নিলেন দেবাদৃতা বসু?
অভিনেতার বিয়েতে গোটা মিঠাই পরিবারের দেখা মিললেও গায়েব ছিলেন সৌমীতৃষা। এই বিষয়ে নানা মন্তব্য সামনে আসলেও নিজের নাম বারবার আদৃতের সঙ্গে জুড়ে যাওয়ার কারণে বিরক্তি প্রকাশ করছেন অভিনেত্রী। এমনকি জন্মদিনেও অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানাননি তিনি। এই বিষয়ে জানার জন্যই একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমেই তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয় অভিনেত্রীর সঙ্গে। অভিনেত্রী বলেছেন “আসলে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম আদৃতের জন্মদিন। আমার এত জন্মদিন, বিয়ের দিন মনে থাকে না। তাও বলব ভালো থাকুক, ক্যারিয়ারে সফল হোক এই কামনা করি।”
তবে কি ভাঙন ধরেছেন আদৃত রায় এবং সৌমীতৃষা কুন্ডুর বন্ধুত্বে?
এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানিয়েছেন “না ভালো বন্ধু নয়, বরং ভালো সহকর্মী ছিলাম। আসলে যে কোন ধারাবাহিক মানেই বছর দুয়েক পথ চলা। একসঙ্গে এতটা সময় কাটানো সেটে, যার ফলেই সেখান থেকে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। আদৃতের জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও ভালো সহকর্মী হত।” তবে ভালো সহকর্মী বিয়েতে অভিনেত্রীর দেখা মিলল না কেন? উত্তরে সৌমীতৃষা জানিয়েছেন “নিমন্ত্রণ পায়নি তার দেখা যায়নি। আমারও তাদের শুভেচ্ছা পাঠানো হয়ে ওঠেনি। আমরা তো জানতাম মিঠাই চলাকালীনই তখনই শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছিলাম। তবে সেইসময় আমাদের ধারাবাহিকের সেটে সকলের জন্মদিন পালন করা হত। খুব মজা করতাম, কেক কাটা হত, সেই স্মৃতিগুলোই মনে পড়ে।”