ছোট থেকেই বাড়ির পোষ্যদের সঙ্গে মিশে বড় হয়েছে আদিদেব (Aadidev Chatterjee)। বিশেষ করে ভান্টু, গ্রেট ডেন প্রজাতির সেই বিশাল দেহী কুকুরটির সঙ্গে তার এক আলাদা সম্পর্ক। খেলার সাথি, খুনসুটির বন্ধুই যেন সে। পোষ্যের সঙ্গে এই বন্ধুত্ব কখন যে নির্ভেজাল মমতা থেকে বিপদের আশঙ্কায় পরিণত হয়, তা সত্যিই আন্দাজ করা কঠিন। সম্প্রতি তেমনই একটি ঘটনা ঘটে গেছে, যা কিছুক্ষণের জন্য হলেও চমকে দিয়েছে ‘সুদীপা চট্টোপাধ্যায়’ (Sudipa Chatterjee) এর পরিবারকে।
ঘটনাটি ঘটে দু’দিন আগে। অন্যান্য দিনের মতোই খেলতে খেলতে আদি উঠে পড়েছিল তার প্রিয় ভান্টুর গায়ে। কিন্তু সেদিন কিছুটা আলাদা ছিল পরিস্থিতি। ভান্টুর শরীরটা ভাল ছিল না, সে চুপচাপ এক কোণে বসেছিল। আচমকা আদির খেলা করার তাড়ায় সে যেন বিরক্ত হয়ে উঠে পড়ে এবং অসতর্কতায় আক্র’মণ করে বসে। তার দাঁত লাগে আদির কপালে। আচমকা সেই হাম’লায় আদি কিছুটা আহত হয়।
পরিবারের সকলেই খুব ঘাবড়ে যায়। ভাগ্যক্রমে আঘাত গুরুতর ছিল না। বাড়িতেই তার প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়, হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়নি। সামান্য জ্বর এসেছিল, ব্যথাও ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছে। যদিও আদির কপালে ভান্টুর দাঁতের দাগ এখনও রয়েছে, তবে বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়াটাই বড় কথা বলেই মনে করছেন সকলে।
এই ঘটনার পর পোষ্য ভান্টুর আচরণেও এক ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। তার মধ্যে যেন এক ধরনের অপরাধবোধ তৈরি হয়েছে, বুঝতে পারছে সে ভুল করেছে। মানুষ আর পশুর মধ্যে সম্পর্কটা শুধুই খেলার নয়, এক ধরনের আবেগ আর উপলব্ধিরও। সুদীপার কথাতেই উঠে এসেছে, “ভান্টুও যেন বুঝেছে ওর এমনটা করা উচিত হয়নি।”
আরও পড়ুনঃ পরশুরামের দাপটে পিছিয়ে জগদ্ধাত্রী-পরিণীতা! টিআরপি লিস্টে কে কোন স্থান দখল করলো এই সপ্তাহে?
এখন ফের পুরনো বন্ধুত্বে ফিরেছে আদি আর তার প্রিয় ভান্টু দাদা। যত দিন যাচ্ছে, ততই ভালো হয়ে উঠছে আদির ক্ষতস্থান। আবার সেই পুরনো খুনসুটি, সেই সঙ্গীর মতো ছুটে বেড়ানো, সবই ফিরে আসছে ধীরে ধীরে। এই ঘটনাটা তাদের সম্পর্ককে কিছুক্ষণের জন্য থামিয়ে দিলেও ভালোবাসার বাঁধনকে ভাঙতে পারেনি।