জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টে বড় ধাক্কা! এক নয়, এবার দুই রুদ্র! বড় রানী আবার ফিরে এসেছেন নিজের প্রতাপে! ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন ছোট রানী! ফুলকি-রোহিতকে খু’নের চেষ্টা!

জি বাংলার ‘ফুলকি’তে (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ফুলকি স্বাগতা ম্যাডামকে ফোন করে বড় রাজাবাবুর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বের করতে বলে, অন্য একজন ডাক্তারকে দেখাবে তাই। ঠিক সেই সময়ে ছোট রানী সেখানে উপস্থিত হয়। ফুলকির মুখে বড় রাজার কথা শুনে আতঙ্কিত হয়ে ছোট রানী ফুলকিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন, তাঁর ধারণা যেহেতু তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, কোনও বিপক্ষ দল ফুলকিকে দিয়ে এইসব করাচ্ছে তাঁকে সবার চোখে খারাপ করার জন্য।

ফুলকিকে গিয়ে ছোট রানী বলেন, কত টাকার বিনিময়ে এবং কার হয়ে কাজ করছে সে। তিনি বলেন দরকারে তিনি দ্বিগুণ টাকা দিতে পারেন। এত চিৎকার শুনে ধানু,আদিত্য আর ইন্দ্রও সেখানে হাজির হয়। রোহিতকে ছোট রানী বলেন, ফুলকির জন্য ধানু-আদিত্যর সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে, তাঁর জন্যই ধানু সবার চোখে ছোট হয়ে যাচ্ছে। ফুলকি আর চুপ করে না থেকে বলে দেয় যে বড় রানীর ইচ্ছায় সে এই তদন্তে নেমেছে।

Phulki, Zee Bangla Serial, Zee Bangla, Bengali Serial, New Episode, Upcoming Episode, Devyani Mondal, Abhishek Bose, Sudip Sarkar, Rudrarup Sanyal, ফুলকি, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, দিব্যানী মণ্ডল, অভিষেক বসু, সুদীপ সরকার, রুদ্ররূপ সান্যাল, নতুন পর্ব

ছোট রানী বিশ্বাস করতে চান না, কিন্তু বড় রানী স্বয়ং এসে বলেন যে নৃসিংহদেব তাঁকে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে বড় রাজা এবং তাঁর মেয়ে বেঁচে আছে তাই এই তদন্তের ভার ফুলকিকে দিয়েছেন তিনি। বড় রানীর গলায় এত আত্মবিশ্বাস দেখে রীতিমত কোণঠাসা হয়ে পড়েন ছোট রানী। সবাই চলে যেতেই বড় রানী রোহিতকে সাজিয়ে গুছিয়ে নিজের হাতে জামাইষষ্ঠী পালন করেন। এদিকে ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট দেখে মাথায় বাজ পড়ে ছোট রানীর।

বড় রানী আর ফুলকির পুরোপুরি মিল সেখানে দুজনের। ছোট রানী রুদ্রকে ফোন করে ফুলকিকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। সেখানেই দেখা যায় আসল চমক! রুদ্র সংশোধনাগারে যাওয়ার আগে ঠিক যেমন স্বমহিমায় ছিল, তেমনই দেখা যায় তাঁকে। নিজের মুখেই সে স্বীকার করে সংশোধনাগারে আরও একজন রুদ্র আছে, যে ঠিক তারই মতন দেখতে। এদিকে ফুলকি-রোহিত পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে, তিনি জানিয়ে দেন এই রিপোর্টে অনেক অসঙ্গতি আছে।

রিপোর্টে লেখা আছে মৃতদেহ সাত দিন জলের তলায় ছিল, কিন্তু মৃতদেহের শারীরিক বিবরণ থেকে বোঝা যাচ্ছে দুই থেকে তিন দিনের বেশি ছিল না। ফুলকি সিদ্ধান্ত নেয় যেই শ্মশান ঘাটে বড় রাজাকে পোড়ানো হয়েছিল, সেখানে গিয়েই খোঁজ করবে আসল সত্যির। যথারীতি সেখানে পৌঁছাতেই একটা কালী মন্দির দেখে ফুলকির আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। একজন লোককে খুঁজে পায় তারা যিনি তিরিশ বছর ধরে সেখানে মৃতদেহ সৎকার করছেন।

প্রথমে কথা বলতে রাজি না হলেও পরে বড় রাজার প্রসঙ্গ তুলতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। সেই ব্যক্তি ফুলকিদের জানান যাকে চব্বিশ বছর আগে বড় রাজাবাবু বলে আনা হয়েছিল তিনি অন্য কেউ ছিল, কারণ বড় রাজাবাবু অনেক লম্বা ছিলেন। ফুলকির দৃঢ় বিশ্বাস বড় রাজা এখনো বেঁচে আছেন, ঠিক সেই সময়ে দূর থেকে ফুলকিদের দিকে লক্ষ্য করে তীর চালায় কেউ। ফুলকি আর রোহিত মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

Piya Chanda