সুদীপা মুখোপাধ্যায় কখনও চান না যে তাঁর ছেলে আদিদেব শুধুই পড়াশোনায় ডুবে থাকুক। সেন্ট জেমস স্কুলের ক্লাস টুয়ের ছাত্র আদি পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে হাত পাকাতে পারে, সেই সুযোগ দিতে চান তিনি। স্কুলে যেহেতু পড়ার সঙ্গে খেলাধুলোকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়, তাই সুযোগ বুঝেই আদিকে এই স্কুলে ভর্তি করেছিলেন সুদীপা।
বালিগঞ্জ প্লেসে সুদীপাদের বাড়ির আশেপাশে খেলার মাঠ নেই বললেই চলে। ফলে আদির দৌড়ঝাঁপ, খেলাধুলো বা শরীরচর্চার একমাত্র ভরসা স্কুলের বিশাল মাঠ। পাশাপাশি ছেলেকে সাঁতার শেখাতেও ভরতি করেছেন তিনি। প্রথম দিকে জলে নামতে আপত্তি থাকলেও ধীরে ধীরে সাঁতারের প্রতি ভালোবাসা জন্মেছে আদির। এই নিয়মিত অনুশীলন তাকে শারীরিকভাবে ফিট রাখতেও সাহায্য করছে।
এবার ছেলের পছন্দকে সম্মান জানিয়ে এবং নিজের ছেলেবেলার অপূর্ণ ইচ্ছে পূরণের পথ তৈরি করে সুদীপা আরও এক ধাপ এগোলেন। আদিদেবকে ভর্তি করালেন প্রাক্তন ক্রিকেটার শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়ের ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নটা আদির নাকি তাঁর মায়ের? এই প্রশ্নের উত্তরে সুদীপা জানান, আদি বিরাট কোহলির প্রবল ভক্ত। বহুবার ইডেনে নিয়ে গিয়ে খেলা দেখিয়েছেন তিনি। খেলা দেখতে আদি ভালোবাসলেও নিজে কখনও সিরিয়াসভাবে খেলেনি, ঠিক যেমন সাঁতারের ক্ষেত্রেও প্রথমে দ্বিধা ছিল।
সুদীপা বিশ্বাস করেন, সময়ের সঙ্গে খেলাধুলোর প্রতি আদির আগ্রহ বাড়বেও বদলাবেও। সাঁতারের মতো ক্রিকেটেও হয়তো ধীরে ধীরে উৎসাহ জন্মাবে। তাই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে না দিয়ে তিনি চান আদি নিজেই বুঝুক কোন দিকটিতে তার মন টানে। কিছুদিন ক্রিকেট খেলুক, অভিজ্ঞতা হোক, তারপরই ঠিক হবে ভবিষ্যতের পথ।
আরও পড়ুনঃ প্রোমোতে “এত পরিচারক, পরিচারিকা ছিল, এখন কুসুম ছাড়া আর কেউ কাজ করে না!” “এত ঐতিহ্যশালী, সমৃদ্ধ পরিবারের এমন দুরবস্থা কেন?” কুসুমের কীর্তি নয়, এবার গাঙ্গুলী পরিবারে কর্মচারীদের রহস্যজনক অদৃশ্যতা নিয়ে কটা’ক্ষ দর্শকদের!
বিনোদন দুনিয়ার মানুষ হয়েও কেন ছেলেকে খেলোয়াড় হিসেবে দেখতে চান সুদীপা এবং অগ্নিদেব, তার ব্যাখ্যা তিনি সরলভাবে দেন। নিজের বাপের বাড়ির সব সদস্যই খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তিনিও ছেলেবেলায় দাদাদের সঙ্গে ক্রিকেট ফুটবল খেলেছেন। কিন্তু অ্যাকাডেমিতে গিয়ে খেলা শেখার সুযোগ তখন পাননি। সেই সুযোগটুকু ছেলেকে দিতে চান তিনি। বাকিটা আদির ইচ্ছে এবং স্বপ্নই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যতের দিশা।
