জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

মাত্র ৪৪ বছরে অকাল প্রয়াত হন ‘আলো’ ছবির অভিনেতা কুণাল মিত্র! নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের সুপুরুষ এই অভিনেতার মৃত্যুর পেছনে রয়েছে গভীর রহস্য!

পরিচয় তাঁর নির্মাতা দেবকী কুমার বোসের নাতি, আসল নাম ‘বাসব মিত্র’। ১৯৬৫ সালের ৩০ এপ্রিল কলকাতা শহরে জন্ম তাঁর। নব্বইয়ের দশকে তিনি একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তাবড় তাবড় সব অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের সঙ্গে। অত্যন্ত সুপুরুষ দেখতে এই অভিনেতা এক নজড়েই হয়ে উঠেছিলেন সবার প্রিয়। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে অভিনেতা ‘কুণাল মিত্র’ (Kunal Mitra) কে নিয়ে।

একটা সময়ে অভিনয় জগতে বেশ নাম ছিল তাঁর। পর্দায় জুটি বেঁধেছেন— দেবশ্রী রায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, ইন্দ্রাণী হালদারের মতন বিখ্যাত অভিনেত্রীদের সঙ্গে। অভিনয় জীবনের সবচেয়ে স্মরনীয় কাজ হলো তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘আলো’ (Alo) ছবি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর বিপরীতে। আজও চোখের কোণায় জল চিকচিক করে ছবিটি দেখলে।

শুধুমাত্র চলচ্চিত্রেই আটকে থাকেননি তিনি। একাধিক ধারাবাহিকেও কাজ করেছেন। ছোট পর্দার তাঁর আত্মপ্রকাশ ‘আলফা বাংলা’র ‘এবার জমবে মজা’ দিয়ে। এরপর জি বাংলার ‘রাজা ও গোজা’তে কাউন্সিলর জনার্দন জানার চরিত্র আজও ভুলতে পারেননি অনেকেই। তাঁর সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত কাজ হলো “ছাও-এ ছুটি”। শেষের দিকে সুপুরুষ চেহারা হারিয়ে অত্যাধিক মোটা হয়ে যান।

অভিনয় জীবনের আরও কিছু উল্লখযোগ্য কাজগুলির মধ্যে — ‘নেতাজি’, ‘রাঙ্গামাটি (২০০৮)’, ‘কৃষ্ণকান্তর উইল (২০০৭)’ , ‘বিবার (২০০৬)’ আজও মনে রাখার মতন। ২০০৯ সালে ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে একটি অনুষ্ঠানের শুটিং চলছিল, সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন যিশু সেনগুপ্ত। হঠাৎই সেখানে বুকে ব্যাথা অনুভব করলে, তাঁকে বাড়ি পাঠানো হয় কিন্তু পরের দিনই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ আজও অনেকের যাচ্ছে স্পষ্ট নয়।

তবে জানা যায় শেষের দিকে খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া দাওয়া করতেন, মদ্যপান করতেন কিনা সেটা বোঝা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে সহকর্মীদের থেকে জানা গেছে তিনি কোনও এক অজ্ঞাত কারণে অবসাদে ভুগছিলেন। যার ফলে ওজন বৃদ্ধি হয় মাত্রাতিরিক্ত। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৪৪। স্ত্রী এবং দুই ছেলে ছিল তাঁর, সবাইকে ফেলে রেখে চলে গেলেন এভাবে।

Piya Chanda