জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ওশকে তার বাবার থেকে দূর করে এখন দরদ দেখাচ্ছেন শ্রীময়ী! ‘ছেলে বাবাকে চায়না’, শ্রীময়ীকে আয়না দেখালেন পিঙ্কি

আজকালকার দিনে, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে টলিউড কিংবা বলিউডের তারকা জুটিদের মধ্যে হচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ। আর এই বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে সেই সম্পর্কের প্রভাব দিয়ে পড়ছে তাঁদের বাচ্চাদের ওপর। অন্যদিকে বাচ্চাদের মন হয় সরল, একেবারে আকাশের ধপধপে পেঁজা তুলোর মতন সাদা। ছোটবেলা থেকে বেড়ে ওঠার সময় বাচ্চারা চায় বাবা-মা দুজনকেই। কিন্তু, বড়োদের নানা ঝামেলা অশান্তির কারণে বাচ্চাটিকে বিচ্ছিন্ন হতে হয় কারোর না কারোর থেকে। এমনই এক সম্পর্কের টানাপোড়েনে পড়ে গিয়েছে বর্তমানে টলিউড (Tollywood) তারকা কাঞ্চন (Kanchan Mallik) এবং পিঙ্কির (Pinky Banerjee) একমাত্র পুত্র সন্তান, ওশ।

এই মুহূর্তে পিঙ্কি ও কাঞ্চনপুত্র থাকেন পুরোপুরিভাবে পিঙ্কির কাছেই। মায়েরা তাঁদের সর্বস্ব দিয়ে মানুষ করার চেষ্টা করে সন্তানকে, এমনকি সন্তান বড়ো হয়ে গিয়ে বিয়ের পরেও মায়েরা বুঝতে চান না যে তাঁদের কোলের সেই ছোট্ট ছেলে কিংবা মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেছে। তৈরী হয়েছে আলাদা করে নিজের জগত। অন্যদিকে, ক্রিসমাসের এই প্রাক্কালে সদ্য মুক্তি পেয়েছে রাজ চক্রবর্তী দ্বারা পরিচালিত ‘সন্তান’ সিনেমা।

রাজের এই সিনেমা একেবারে আদ্যপান্তভাবে সন্তান এবং তাঁর বাবা-মায়ের আজকালকার দিনের সম্পর্কের সমীকরণকে তুলে ধরেছেন। তাই, এই সিনেমার প্রিমিয়ারে এসে সন্তান এবং বাবা-মা সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হয় টলিউডের এই সময়ের চর্চিত জুটি কাঞ্চন-শ্রীময়ী। অভিনেত্রী সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে বলেন, এই ছবি দেখতে দেখতে একেবারে শিউরে উঠেছি। ছেলে-মায়ের জীবনের একেবারে বাস্তবকে তুলে ধরেছেন পরিচালক। অধিকাংশ বাড়িতেই বিয়ের পরে লেগে থাকে অশান্তি এবং যার জেরে বাবা-মায়েদের ঠাঁই হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে। শহরের চারিদিকে গুছিয়ে উঠছে বৃদ্ধাশ্রম।

অভিনেত্রী কথায় কথায় আরও বলেন, “আমিও সদ্য মা হয়েছি। আমারও সন্তানের প্রতি কিছু আশা বা চাওয়া থাকবে। খুব ভুল সেটা?”। এমনকি অভিনেত্রীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন, তিনি ঠিক কতটা স্নেহ করে কাঞ্চনের ছেলে অর্থাৎ ওশকে। শ্রীময়ী বললেন, “আমি হয়তো ওকে গর্ভে ধারণ করিনি। কিন্তু, ওশ তো আমারও সন্তানসম। আমার কাছে কৃষভি যা, ওশ-ও তাই।” কাঞ্চনপত্নীর কথায়, “ছেলে যখনই ভাল কিছু করত, কাঞ্চন গর্ব করে আমায় বলত, দ্যাখ, আমার ছেলে কত ভাল করেছে।” সন্তান এবং বাবা-মা কেন্দ্রিক এই ধরনের যাবতীয় বক্তব্য সাধারণ মানুষদের কাছে কেবলই লোক দেখানো দরদ বলে মনে হয়েছে। বাংলার দর্শকদের মতে, বাবা-ছেলে অর্থাৎ কাঞ্চন-ওশের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে শ্রীময়ীর কারণে, বাবার সঙ্গে ছেলের আজ কোনো যোগাযোগ নেই বললেই চলে।

ইতিমধ্যেই, শ্রীময়ী, কাঞ্চন এবং পিঙ্কির সম্পর্কের সমীকরণ বাংলার দর্শকদের কাছে খুবই পরিস্কার। কিন্তু, যতদূর জানা গেছে আজকের এই শ্রীময়ী প্রাথমিকভাবে কাঞ্চন এবং পিঙ্কির সম্পর্কের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে ছিলেন ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ হিসেবে, চির ধরেছিল কাঞ্চনের পুরনো বৈবাহিক সম্পর্কে।। আর আজ সেই অভিনেত্রীই কিনা সন্তান ও বাবা-মা কেন্দ্রের বিষয়ে করে নানা বক্তব্য ঠিক সহজ ভাবে মেনে নিতে পারছে না নেটিজেনসহ সমগ্র বাংলার দর্শকেরা। দর্শকদের কাছে নিতান্তই এটি নাটক বলে মনে হচ্ছে। অবশ্য, এইসব ধারণা অভিনেত্রীর কাছে খুব একটা গায়ে মাখার বিষয় নয় বলেই মনে হয়।

TollyTales NewsDesk