বাঙালির মন, খাই খাই করে সর্বক্ষণ। বিশেষত, বিকেল হলেই মন চায় কিছু খেতে যা কিনা মানুষের পেট শান্ত করার থেকে মনকে শান্ত করে বেশী। সারাদিনের মধ্যে এই সময়টাই ৮ থেকে ৮০ সকলেরই মুচমুচে ধরনের খাবার খেতে মন চায়। যেখানে বড়োদেরই মনে হয় স্ন্যাকজাতীয় (Snacks) খাবার খেতে সেখানে ছোটো বাচ্চাদের এই বিকালের সময়টা খেতে ইচ্ছা করাটা খুবই স্বাভাবিক।
আর বাচ্চাদের খাবার ইচ্ছা মানেই বাইরের জাঙ্ক ফুড, যা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। বাইরের রোল-চাউমিন থেকে শুরু করে নানা ধরনের চিপস, পিজ্জা-বার্গার। কিন্তু, বেশিরভাগ সচেতন মায়েরা তাঁদের সন্তানকে এইসব বাইরের খাবার খেতে দেয় না বলে বাচ্চারা বায়না করতেই থাকে। অন্যদিকে, আবার বেশিরভাগ শিশুর শাকসবজি খেতে পছন্দ করে না। অধিকাংশ সময় অনেক ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে বাবা-মায়ের বাচ্চাদের সবুজ শাকসবজি খাইয়ে থাকেন। কিন্তু সেই পদ্ধতি ও বহাল থাকে না বেশিদিন।
সাধারণ ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাচ্চারা বাড়ির তরিতরকারি না খাওয়ার বায়না ধরলে বাধ্য হয়েই কিছু সবজি দিয়ে বানিয়ে দিতে হয় মুখরোচক খাবার। এখনকার দিনে, এই ভেবেই বাবা-মায়েরা অস্থির হন যে, কী এমন খাবার খেলে শরীর থাকবে ফিট এবং স্বাদেও হবে দারুণ। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, আজকের মুচুমুচে এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যের রেসিপি। খাবারের নাম ‘ভেজিটেবল কাবাব’।
ভেজিটেবিল কাবাব বানাতে গেলে উপকরণ লাগবে- ১টা আলু টুকরো করা, ১টা পেঁয়াজ কুচি, ৬ থেকে ৭টা ফুলকপির টুকরো, ১ বাই বাঁধাকপি কুচি, ১ কাপ ওটস, মাঝারি মাপের কোঁচানো বিট, ১টা গোটা গাজর কোঁচানো, ধনেপাতা কুচি, অল্প লঙ্কা কুচি, স্বাদমতো নুন, অল্প গরমমশলা গুঁড়ো এবং ১ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো।
আরও পড়ুনঃ নলেন গুড়ের সঙ্গে চিকেনের টুইস্ট! জমে যাবে শীতের ফিস্ট, এই রেসিপি এই শীতে মিস করবেন না
রান্নার প্রথমেই কেটে রাখা সব সবজি গুলোকে একটি পাত্রের মধ্যে অল্প নুন দিয়ে জলে হালকা ভাপিয়ে নিতে হবে যাতে সবজিতে থাকা সমস্ত নোংরা বেরিয়ে যায়। এরপর, একটি বড় পাত্রে একে একে টুকরো করা সব সবজি, পরিমাণ মতো প্রয়োজনীয় মশলা গুঁড়ো, পিয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর মিশ্রণটিকে ভালো করে চটকে কাবাবের আকারে তৈরি করে নিতে হবে। এরপর কর্নফ্লাওয়ার বা বিস্কুটের গুঁড়োয় মাখিয়ে ফ্রাইং প্যানে তেল গরম হলে এক এক করে অল্প আঁচে ভেজে নিলেই তৈরী হয়ে যাবে সুস্বাদু ‘ভেজিটেবিল কাবাব’।