জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বিচ্ছেদের পর কেটে গিয়েছে প্রায় দুই বছর! তবুও এদিনে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট নবনীতার! জিতুর জন্য কি মন কাঁদে এখনও? বিবাহবার্ষিকীতে নীরবে মনের ভাব বোঝালেন নবনীতা!

এক সময় বাংলা টেলিপাড়ার ‘মোস্ট লাভড’ জুটি ছিলেন ‘জীতু কমল’ (Jeetu Kamal) ও ‘নবনীতা দাস’ (Nabanita Das)। শ্বেতা ও রুবেল এখন ঠিক যেমন জনপ্রিয়, ঠিক তেমনই জনপ্রিয় ছিল এই জুটি। জীতু ও নবনীতার ও ছোট পর্দায় আলাপ,এরপর প্রেমের পরিণতি হয়েছিল বিয়েতে। ২০১৯ সালের ৬ মে, পরিবারের সকলের উপস্থিতিতে, ঘটা করে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। কিন্তু সেই সম্পর্ক বাঁচেনি বেশিদিন!বিয়ের মাত্র তিন বছরের মাথায় পথ আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেন দুজনে। প্রায় দুই বছর হতে চলল আলাদা থাকছেন তাঁরা।

শেষবার দুজনকে একসাথে টিভির পর্দায় দেখা গিয়েছিল, স্টার জলসার রিয়েলিটি শো ‘ইশমার্ট জোড়ি’ (Ishmart Jodi) তে। সেখানেও তাঁদের দেখে বোঝা যায়নি যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে এতোটা। এই বিচ্ছেদ নিয়ে নানান জলঘোলা হলে, অভিনেত্রী নিজেই সমাজ মাধ্যমে বিচ্ছেদের কথা স্বীকার করে নেন। এরপর কেটে গিয়েছে বেস অনেকটা সময়, বিচ্ছেদের পর থেকে নবনীতা নিজের জীবনকে নতুন করে গড়ে তুলেছেন। জিতুর সাথে সম্পর্কের অতীত ছাপ সরিয়ে নিজেকে নতুন করে গুছিয়ে নিচ্ছেন তিনি।

সম্প্রতি একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন তিনি, মন দিচ্ছেন নিজের কাজ ও স্বপ্নে দিকে। অভিনয় জগৎ থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও, জীবন থেমে থাকেনি নবনীতার। বরং অন্যান্য নানান কাজে মনোনিবেশ করেছেন তিনি।সম্প্রতি আর একটি ৬ মে এসে পড়েছিল তাঁর জীবনে। এদিন অবশ্য জিতুকে কোনও রকম কিছু পোষ্ট করতে দেখা গেল না, কিন্তু ৬ তারিখ রাতের দিকে একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরি পোস্ট করেন নবনীতা, যেখানে দেখা যায় ভগ্ন হৃদয়ের প্রতীকী এবং তার পাশে লেখা ৬ মে।

সেই পোস্ট ঘিরেই শুরু হয়েছে নতুন গুঞ্জন, এই দিনের স্মৃতি কি এখনও আবেগে ছুঁয়ে যায় তাঁকে? অনেকেই ভেবেছেন, হয়তো বিচ্ছেদের স্মৃতি তাকে কুরে কুরে খায়। যদিও বাস্তব বলছে অন্য কথা। এক সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নবনীতা সোজাসাপটা বলেন, “মন খারাপ হয় না একেবারেই। এখন আর কোনও কিছু এতটা সিরিয়াসলি নিই না।” তাঁর মতে, জিতুর সাথে সম্পর্ক যেমন জীবনের অংশ ছিল, তেমনই এখন তা অতীত। বিয়েটা সত্যি ঘটেছিল, তা মুছে ফেলা যায় না ঠিকই।

কিন্তু তা জীবনের পথে বাঁধাও হতে দেওয়া যায় না। তিনি কিছুটা হতাশ হয়ে বলেন, এদিন তাঁর বাবা বাড়িতে এসে দিয়ে গিয়েছেন বিয়ের সেই লাল বেনারসিটা কাচিয়ে। সেই মুহূর্তেই যেন তাঁর মনে পড়ে গিয়েছিল বিয়ের কথা, তবে সেটাও এখন নিতান্ত হালকা একটা স্মৃতি। তিনি বলেন, “মনে মনে ভাবলাম, বাবা আজকের দিনটাই পেল?” এই মুহূর্তে অভিনয় থেকে অনেকটা দূরে নবনীতা। অতীতকে সম্মান জানিয়েই তিনি এগিয়ে চলেছেন ভবিষ্যতের পথে।

Piya Chanda