Tollywood

পাড়ার লোকেরা বলত নোংরা লাইনে নেমে গেছে! ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ কারর আপন হয় না! অকপট অভিনেত্রী অনুশ্রী দাস!

বড় পর্দার বউরানী থেকে পর্দার জনপ্রিয় মুখ অনুশ্রী দাস। একের পর এক সিনেমা এবং ধারাবাহিকে সমানতালে অভিনয় করে তিনি জিতে নিয়েছেন বাংলার দর্শকদের মন। তবে পর্দায় দাপুটে শাশুড়ি হলেও বাস্তবে তিনি একদম অন্য রকমের সরল, সাধারণ মনের মানুষ। সম্প্রতি তার একটি সাক্ষাৎকারে নেন সাংবাদিকরা। তিনি জানান “আমি এইরকমই পরিস্থিতি ঠিক না লাগলে আমি নিজেকে গুটিয়ে নিই। যারা আমার কাছের তারা দেখে বুঝতে পারে।”

তিনি এও বলেন “মানুষ কোনও সময় বদলায় না, পরিস্থিতি মানুষকে বদলে দেয়। সময় অনুযায়ী হয়তো মানুষ অন্যরকম ব্যবহার করে কিন্তু তারা একই থাকে সবসময়। তবে শুধু তাই নয় মানুষ নিজেকে পাল্টাতে শুরু অর্থের জন্য। নাহলে কোন‌ও কাজে বসকে বাবা মা বলা হয়? আমাদের এখানে বলা হয়। এ আমার বোন, ইনি আমার মা। অনেকে তো পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে ছবি দেয়। কিন্তু সেটা আসল নয়। আসল হল তোমার অন্তরের ভালোবাসা। নিজের কাজকে ভালোবাসা। এইভাবে কাজ পাওয়া যায় হয়ত কিন্তু ভালো কাজ করা যায়না আর ঠিকঠাক না করলে বাদও দিয়ে দেয়।”

ছোটবেলায় যখন কাজ করতাম তখন বলা হত “এ তো ওই রাস্তায় নেমে গেছে। তখন ভাবতাম এনারা তো জানেন না তাই বলছেন। আমায় গীতা পিসি সুযোগ করে দেন। তার মেয়ের জন্য অফার এসেছিল কিন্তু সে করতে হয়নি তখন আমায় বলা হয়। যদিও প্রথমে আমায় নেওয়া হয়নি কিন্তু পরে পুরো সাজিয়ে দেখে তারা বলেন একেই বৌরানীর চরিত্রে নেব। আমি যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি তারা এক এক জন কান্ডারী। আমি নয় কারণ আমায় যদি বলে আজ রাতে বলে কাল শুট আছে আমি না করে দিই বা হাজারটা প্রশ্ন করি যেকারনে আমার আর ফোন করে না।”

অভিনেত্রী আর‌ও বলেন, “আমি এরকমও দেখেছে দুই বাংলার যৌথ পরিচালক আমায় নিয়ে গিয়ে বলেছেন একটা ছোট স্কার্ট বলে একজনের সঙ্গে অভিনয় করতে হবে। সেটা করতে আমার বাঁধে। তাই নিজের ট্র্যাকটা ছাড়া উচিত নয়।” তিনি এও বলে যে “রীল বানিয়ে এবং ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে অভিনেতা হওয়া যায়না। তুমি কি করে বুঝলে, তুমি প্রতিভাশালী সেটা তো দর্শক বলবে। সেটা আমার পছন্দ নয়।”

তিনি অনন্যা চ্যাটার্জী, স্নেহা, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সম্মন্ধে বলেন “ওরা কাল করে এবং কারুর কথায় কান দেয় না। কান দিলে কি কাজ করতে পারতো? তারা প্রত্যেকে অনেক বড় মাপের অভিনেতা কিন্তু তারা কারুর দুর্নাম করেনা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও তার জীবনে অনেক কিছু দেখেছেন কিন্তু কানে নেননি।” বড় পর্দার কাজ নিয়ে তিনি জানিয়েছেন “আমি করতে চাই কিন্তু ভালো না পেলে কি করে, আমায় বলবে আমি মায়ের রোল করব এবং আমার ভাইয়ের বয়সে একজন হিরোর চরিত্র করবে সেটা পারবোনা। সকলের বোঝা দরকার।”

তিনি রূপবান কন্যা, ভাই আমার ভাই, বিশ্বাস অবিশ্বাস, বকুল প্রিয়া, বনগাঁ লোকাল, স্বামীর আদেশ সহ একাধিক সিনেমায় এবং ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। তিনি অনেক ভালো থাকুন, আর ভালো করে কাজ করুন এইটাই কামনা।

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী।