Connect with us

Tollywood

Dev: বাঘাযতীন বেঁচে থাকলে গান্ধীজি জন্মাতেন না! ভারত আগেই স্বাধীন হতো! দেব মন্তব্য করতেই রাগে ফুটছে মানুষ

Published

on

dev gandhiji

পুজো এবং সিনেমা এই দুটো ওতপ্রোতভাবে জড়িত একে অপরের সঙ্গে। আসলে বহু বাঙালি রয়েছেন যারা শুধুমাত্র পুজোতে ছুটির দিনগুলো সিনেমা দেখেই কাটিয়ে দেয়। আর তাইতো সিনেমা প্রেমীদের জন্য প্রত্যেক বছর পুজোর সময় সিনেমা মুক্তি পায়।

তবে এই বছর পুজো রিলিজের সংখ্যাটা যেন একটু বেশি।‌ একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছে চার চারটি ধামাকাদার সিনেমা। মিতিন মাসি, রক্ত বীজ, দশম অবতার, বাঘা যতীন। তবে এই চারটি সিনেমার মধ্যে একটি সিনেমাকে ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ উত্তেজনা দীর্ঘদিন ধরেই তুঙ্গে রয়েছে। আর সেটি হলো বাংলার সুপারস্টার দেব অভিনীত বাঘাযতীন।

আসলে বলাই বাহুল্য, ইতিহাস নির্ভর এই ছবিটিকে ঘিরে অন্যান্য সমস্ত সিনেমার থেকে দর্শকদের আগ্রহ বেশি রয়েছে। বাঘা যতীনের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীকে বড় পর্দায় দেখার উত্তেজনা রয়েছে দর্শকদের মধ্যে। অভিনেতা হিসেবে ব্যবসা সফল তো ছিলেনই। প্রযোজক হিসেবেও কিন্তু দারুণ রকমের সফল অভিনেতা দেব। টনিক, কিশমিশ, প্রজাপতির মতো একাধিক বাস্তবধর্মী, ব্যবসা সফল সিনেমার প্রযোজক তিনি।

গত বছর প্রজাপতি বাংলার আকাশে দারুণভাবে ডানা মেললেও অভিনেতার শেষ রিলিজ ব্যোমকেশ বক্স অফিসে কাঙ্খিত সাফল্য কিন্তু পায়নি। এখন তাই বাঘা যতীনকে ঘিরে প্রচুর আশা অভিনেতার। বুড়িবালামের যুদ্ধ ফুটে উঠবে এবার বড় পর্দায়। ‌ শুধুমাত্র বাংলা নয় বাঘা যতীন মুক্তি পাবে গোটা দেশ জুড়েই।

একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছেন, এই সিনেমাটা আমাদের জন্য শুধু একটা সিনেমা নয়। একটা আবেগ। বিগত আড়াই বছর ধরে আমরা এই সিনেমাটার মধ্যেই কাটিয়েছি। আমার পুরো টিম। আমার ইচ্ছে, আশা বাঘা যতীন নিয়ে গর্ব করুক প্রত্যেকটা বাঙালি।

উল্লেখ্য , অভিনেতা আরও বলেন, আমরা স্বাধীনতা সংগ্রামী বলতে গেলে চার-পাঁচজনকেই মনে রাখি। বাঘা যতীন তাদেরই মধ্যে বইয়ের পাতায় জায়গা পেয়েছেন। আমি বাঘা যতীন করছি বলে অন্য কাউকে ছোট না করেই বলছি চার্লস টেগাট যিনি ব্রিটিশদের মধ্যে অন্যতম দুঁদে অফিসার ছিলেন তিনি নিজের আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, যদি বাঘাযতীন বেঁচে থাকতেন তাহলে গান্ধীজির জন্ম হত না।

ওই বইতেই লেখা আছে, বুড়িবালামে যদি জাহাজ পৌঁছে যেত, তাহলে ১-২ বছরের মধ্যে ভারতবর্ষ স্বাধীনতা পেয়ে যেত। ওই অস্ত্র যদি জার্মানি থেকে আসত দেশে। ভারতবর্ষ ১৯১৫-১৯১৭-এর মধ্যে স্বাধীন হয়ে যেত। আর তাই অভিনেতা মনে করেন বাঘা যতীনের ইতিহাস গোটা দেশের জানা উচিত।