বর্তমানে রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির খুব ভালো সম্পর্ক।একদম নিরপেক্ষভাবে যদি বলতে হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক করেছেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির জন্য। বিশেষ করে ছোট পর্দার কলাকুশলীদের প্রতি তার খুবই স্নেহ পূর্ণ ব্যবহার থাকে।বাকি বিতর্কিত দিকে যাব না কিন্তু রাজ্যের শিল্প-সংস্কৃতির দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু বরাবর গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। টলিপাড়ার অধিকাংশ মানুষকে আমরা দেখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে।
গতকাল ছিল একুশে জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবস যেটা প্রতিবছর ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং এ হয়ে থাকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ আসেন এবং টলি পাড়ার প্রচুর কলাকুশলীদের আমরা দেখতে পারি এই সমাবেশ মঞ্চে। প্রত্যেক বছর থাকে অনেক নতুন মুখ আবার অনেকের আমরা দেখা পাই না। গতকাল আমরা দেখতে পেয়েছি প্রচুর টলিউডের কলাকুশলীদের তবে একজনকে দেখে খুব চমকে গেছেন সকলে।
তিনি হলেন আমাদের মিঠাই রানী। মিঠাই গতকাল উপস্থিত ছিল 21 শে জুলাই এর সমাবেশে। আমরা সকলেই জানি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিঠাইকে কতটা পছন্দ করেন। পশ্চিমবঙ্গ টেলি একাডেমী অ্যাওয়ার্ডে তাকে যেভাবে জড়িয়ে ধরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তার থেকে স্পষ্ট যে মিঠাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্যা।
গতকাল মিঠাই টলিপাড়ার অন্যান্য কলা কুশলী যেমন অদ্রিজা রায় সাহেব মুখার্জি সোনামনি সাহা কাঞ্চন মল্লিক রাজ চক্রবর্তী সকলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এই সমাবেশে। আর তারপরেই তার কিছু ভক্তের মন খারাপ।
তারা ভয় পাচ্ছেন যে হয়তো মিঠাই তৃণমূলে যোগ দিয়ে দেবে আর তখন তো তার অভিনয় ক্যারিয়ারের বারোটা বেজে যাবে। মিঠাইকে রাজনৈতিক সংস্পর্শে আসতে দেখতে তারা চান না। তারা চান যে মিঠাই অরাজনৈতিকভাবেই নিজের ক্যারিয়ারে মন দিক।এমনিতেই মিঠাই কে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই তার ওপর যদি মিঠাই তৃণমূলে যোগ দেয় তখন নিন্দুকেরা মিঠাইয়ের নামে উল্টোপাল্টা কথা বলবে যে রকম বাকি রাজনৈতিক যেসব অভিনেতা অভিনেত্রী আছে তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়ে থাকে।