জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

স্ত্রীর মৃত্যুর পর কাটাচ্ছেন একাকী জীবন! সত্যজিতের পথের পাঁচালী’-র অপু সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় এখন কী করেন, কেমন আছেন?

সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) ‘পথের পাঁচালী’ (Pather Panchali) বাংলার চলচ্চিত্র ইতিহাসের অমর সৃষ্টি। এই ছবি চলচ্চিত্রের মাইলফলক। ছবিতে ছোট্ট অপুর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় অভিনেতা সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Subir Bandyopadhyay)। মনোক্রম পর্দায় যার অভিনয় দাগ কেটেছে সবার মনে। সেই সুবীর বাবু এখন কোথায়? কেমন আছেন ‘অপু’? সবার আড়ালে একাকী জীবন কাটাচ্ছেন অভিনেতা।

পথের পাঁচালীতে সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনয় (Pather Panchali & Subir Bandyopadhyay)

সত্যজিৎ রায়ের অমর সৃষ্টি পথের পাঁচালীর শুটিং শুরুর আগে অপু চরিত্রের জন্য কাকে রাখা হবে তার খোঁজ খবর চলছিল। এমন সময় পরিচালকের স্ত্রী পাশের বাড়ির ছাদে একটি আট বছরের ছেলেকে খেলা করতে দেখেন। ‌ আর তখনই ঠিক করে নেন, অপু চরিত্রের জন্য এর চেয়ে ভালো আর কেউ হতেই পারেনা। তিনি সত্যজিৎ রায়কে বললে তিনিও সহমত হন।

তবে সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতা চাননি ছেলে অভিনয়ে নামুক। তিনি চেয়েছিলেন তার আট বছরের ছেলে পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হোক। ‌তখন পরিচালক সত্যজিৎ রায় বলেছিলেন, আমি এমন একটি ছবি করতে চলেছি যা বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শেষমেষ রাজি হয়েছিলেন পিতা। অপু চরিত্রের জন্য অভিনয় করেন সুবির বন্দ্যোপাধ্যায়। ‌

অভিনেতা সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জীবন (Actor Subir Bandyopadhyay’s personal life)

তবে ‘পথের পাঁচালী’ ছবির ব্যাপক সফলতার পর সিনেমা জগত থেকে সরে আসেন সুবীর বাবু। সরে এসেছিলেন ‘দুর্গা’ চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী উমা দাশগুপ্ত। দুজনেই আর চলচ্চিত্রের আলোয় থাকেননি। পড়াশোনা শেষ করে এক ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থায় চাকরিতে যুক্ত হন সুবীর বাবু। পরবর্তীতে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের ক্লার্ক পদে কাজ করেন।

বর্তমানে সুবীর বাবুর বাবা ও মা প্রয়াত হয়েছেন। না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন সুবীর বাবুর স্ত্রী। লোকচক্ষুর আড়ালে নিজের মতো করে একাকী জীবন কাটাচ্ছেন ‘পথের পাঁচালী’-র অপু। থাকেন কলকাতায়। কেউ খোঁজ নেয়না তাঁর। তবু নিজের সারা জীবনের সঙ্গী তাঁর ‘অপু’ ডাকনাম। আজও তার স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করে ‘পথের পাঁচালী’র দৃশ্য।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।