জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Recipe: আজ‌ই রেঁধে ফেলুন সম্পূর্ণ নতুন এক পদ! ফেলুন রুই মাছের ছোলার ডাল! খেতে কিন্তু অনবদ্য

আজকাল সর্বত্র‌ই ফিউশন রান্নার চল! তবে এই ফিউশন রান্না শুধু এখন জনপ্রিয়তা পেয়েছে এমনটা একেবারেই নয়। সেই সময়‌ও দারুণ জনপ্রিয় ছিল। বিশেষ করে রাজবাড়ির রান্নায় ছিল মূলত ফিউশন টাচ। আর আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব একটি পদ যেটি ছিল নদিয়া রাজবাড়ীর বিশেষত্ব। সেই পদটির নাম রুই মাছের ছোলার ডাল।

উপকরণ :

রুই মাছের পিস- ৬ থেকে ৭
ছোলার ডাল- ১৫০ গ্রাম
আদা- ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ- ২টি
টমেটো- ২ টি
কাঁচালঙ্কা- ৪-৫টি
ধনে পাতা কুচি- আন্দাজ মতো
গোটা জিরে- ১ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো- ৩ টেবিল চামচ
তেজপাতা- ২টি
গোটা গরম মশলা- পরিমাণমতো
কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ
জিরার গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ
নুন- স্বাদমতো
চিনি- স্বাদমতো
গরম মশলা- ১ টেবিল চামচ
ঘি- ১ টেবিল চামচ
সর্ষের তেল- পরিমাণ মতো

রন্ধন প্রণালীঃ প্রথমেই ছোলার ডাল ভালো করে দুই-তিন ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে প্রেশার কুকারে সিদ্ধ করে নিন। এরপর মাছগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। নুন-হলুদ মাখিয়ে রাখুন।

এরপর সর্ষের তেলে মাছ ভালো করে ভেজে আলাদা করে রেখে দিন। অন্যদিকে সেদ্ধ ডালের অর্ধেকটা একটি বাটিতে তুলে রাখুন। বাকি অর্ধেক ডাল মিক্সিতে মিহি করে বেটে নিন।

এবার কড়াইয়ে তেল এবং এক টেবিল চামচ ঘি গরম করে তার মধ্যে দিয়ে দিন তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, গোটা জিরে এবং গোটা গরম মশলা । নেড়েচেড়ে নিয়ে দিয়ে দিন আদা বাটা। একে একে দিয়ে দিন হলুদ গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো এবং জিরার গুঁড়ো। কম আঁচে ভালো করে কষুন। মশলা থেকে তেল আলাদা হলে তাতে দিয়ে দিন পেঁয়াজ কুচি। ভাজা হলে দিয়ে দিন কাঁচা লঙ্কা এবং টমেটো। খেয়াল রাখবেন, টমেটো যতক্ষণ না নরম যাচ্ছে, ততক্ষণ কষুন। এই সময় দিয়ে দিন স্বাদ অনুযায়ী চিনি, নুন।

ভালো করে কষিয়ে নিন বাটিতে তুলে রাখা সিদ্ধ ছোলার ডাল মেশান। এরপর দিয়ে দিন বেটে রাখা সিদ্ধ ছোলার ডাল দিন। খুব ভালো করে মেশান। খুব ঘন করবেন না। জল মিশিয়ে নিতে পারেন। ডালে ফুট এলে তাতে এক টেবিল চামচ ঘি, এক টেবিল চামচ গরম মশলা এবং সামান্য ধনে পাতা কুচি দিয়ে মেশান।

ডাল ফুটতে শুরু করলে তার মধ্যে দিয়ে দিন ভাজা রুই মাছগুলো। উপরে ছড়িয়ে দিন ধনে পাতা কুচি। ভাতের সঙ্গে রুই মাছের ডাল থাকলে আর কোনও তরকারি বা পদের দরকার‌ই পরবে না। বানাতে ভুলবেন না।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।