সংস্কৃতিপ্রেমী বাঙালির জীবনে ঠাকুরবাড়ির প্রভাব অনস্বীকার্য। সাজপোশাক থেকে জীবনশৈলী, এমনকী রান্নাও অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছেন বহু বাঙালি। ফিউশন কথাটির বাস্তব প্রয়োগ শিখিয়েছেন সেই বাড়ির অনেক সদস্য। সাবেকি রান্নাকে নয়া ধাঁচে ফেলে নতুন করে রন্ধন কৌশল আবিষ্কার হয়েছে ঠাকুরবাড়ির হেঁশেলে। আজ রইল তেমনই এক রেসিপি (Recipe)।
উপকরণ-
শোল, রুই কিংবা ভেটকি মাছ – ২৫০ গ্রাম, পটল- ৫০০ গ্রাম, ঘি- ২-৩ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা- ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা- ১/২ চা চামচ, লঙ্কাবাটা- ১ চা চামচ, হলুদ- আধ চা চামচ, গরম মশলা গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ, ময়দা বা কর্ন ফ্লাওয়ার – ২-৩ টেবিল চামচ, নুন, সাদা তেল।
প্রণালী-
মাছ ভাল করে ধুয়ে হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিন। বেশি কড়া করে ভাজা চলবে না। তারপর মাছের কাঁটা ছাড়িয়ে রাখুন। তারপর হাত দিয়ে মাছটি মাখুন। এরপর দুই চামচ ঘি দিয়ে গরম করে তাতে দিয়ে দিন আদা, পেঁয়াজ ও লঙ্কা বাটা। পেঁয়াজ ও আদার কাঁচা গন্ধ চলে গেলে এতে মাছগুলি দিয়ে কষাতে থাকুন। এরপর নুন ও গরম মশলা ভালো করে কষিয়ে নিয়ে গ্যাস বন্ধ করে নিন।
আরও পড়ুনঃ ট্যাংরা মাছ দিয়ে জলপাইয়ের টক, শীতের দিনে বাঙালির রান্নাঘরের ঐতিহ্য! জেনে নিন রেসিপি
পটল ভালো করে ধুয়ে লম্বালম্বি করে আধখানা করুন। পটলের বীজ বের করে নিন। এ বার আধখানা পটলের মধ্যে মাছের পুর ভরে অন্য পটলের আধখানা দিয়ে চাপা দিয়ে আটকে দিন। পটল যেন খুলে না যায়। এবার একটি পাত্রে ময়দা, ঘি ও সামান্য নুন মিশিয়ে তাতে অল্প জল দিয়ে ব্যাটার তৈরি করুন। ব্যাটারটি যেন খুব পাতলা না হয়। ভরা পটল ময়দার গোলায় চুবিয়ে ছাঁকা তেলে ভেজে নিন। তারপর গরম গরম পরিবেশন করুন মাছের পোটলি।