শনিবার মানেই প্রায় সমস্ত বাড়িতেই হয় নিরামিষ। তবে নিরামিষের দিন মানেই বাড়ির গৃহিণীদের কপালে পড়ে চিন্তার ভাঁজ। প্রায় সব বাড়িতেই এক কাহিনী। বাড়ির কেউই খেতে পছন্দ করেননা নিরামিষ খাওয়ার। নিরামিষ মানেই তাদের চাই কিছু নতুনত্ব। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে নতুনত্ব কি বানানো সম্ভব? আর এছাড়াও এখন যা গরম পড়েছে খুব একটা রিচ খাওয়ার একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় শরীরের জন্য।
এছাড়াও এই গরমে বেশিক্ষণ রান্না ঘরে থাকতে কার-ই বা ভালো লাগে! তাহলে কি এমন বানানো যায় যা হবে নতুনত্ব, পুষ্টিকর এবং যা বানানোও অত্যন্ত সহজ, বানানোতে হবে না একেবারেই পরিশ্রম অথচ পছন্দ করবেন সকলেই? আচ্ছা বেগুনের ভর্তা, আলুর ভর্তা তো অনেকবার খেয়েছেন কিন্তু কখনও খেয়েছেন মোচার ভর্তা। খেতে কিন্তু খুব সুস্বাদু। তাহলে চলুন আজ বানানো যাক মোচার ভর্তা। তবে তার আগে চলুন জেনে নিই কি কি গুন আছে মোচাতে।
মোচাতে রয়েছে ভরপুর ফাইবার। পাতে সামান্য পরিমাণে মোচা থাকলেই পুষ্টিতে পড়বে না কোন ঘাটতি। এছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, গুড ফ্যাট, কপার, ভিটামিন সি, ই, এ, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক প্রভৃতি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, স্থূলতা, হার্টের সমস্যা, অস্টিওপোরোসিস এমনকি ক্যান্সারের প্রকোপ ঠেকাতেই দারুন কাজ করে মোচা।
এছাড়াও শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটাতে, শরীরে হিমগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে, রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে, কোলেস্টরলের সমস্যা দূর করে। তবে মোচা শুধু শারীরিক নয়, দুর করে মানসিক চাপও। মোচায় উপস্থিত আন্টি ডিপ্রেশনের উপাদান ডিপ্রেশন ও অ্যানজাইটি কমাতে সাহায্য করে এবং আমাদের মুড ভালো রাখে। তাছাড়াও অ্যালজাইমার মতো স্নায়ুজনিত রোগের ক্ষেত্রেও উপকারী মোচা। তাহলে এবার চলুন দেখে নিই কিভাবে বানাবেন এই মোচার ভর্তা।
প্রণালি:
প্রথমেই মোচার থেকে আলাদা করে নিন ফুলগুলো। তারপর একটি পাত্রে জলের মধ্যে খানিকটা নুন দিয়ে তাতে মোচাগুলো ভিজিয়ে রাখুন প্রায় ১০-১৫ মিনিট। এরপর মোচাগুলোকে ভালো করে ধুয়ে তাতে আদা এবং রসুনের কোয়াগুলো মিক্সিতে বেঁটে নিন। এবার মোচাগুলোতে আদা বাটা এবং রসুন বাটা মাখিয়ে নিন। এরপর মোচাগুলোকে ভালো করে সেদ্ধ করে নিন। মোচাগুলো ভালো করে সেদ্ধ গিয়ে গেলে ওপর দিয়ে ঘি ছড়িয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন এই মোচার ভর্তা। গরম ভাতের সঙ্গে মোচার এই রেসিপিটি কিন্তু পুরো জমে যাবে।