জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বাড়িতে বেঁচে গেছে ভাত! নষ্ট করবেন? না, চটজলদি বানিয়ে ফেলুন রসগোল্লা, রইল রেসিপি 

বাঙালি মানেই শেষ পাতে মিষ্টি মাস্ট। মিষ্টি ছাড়া যেন খাওয়ার অসম্পূর্ণ। সারা বাংলা বিভিন্ন প্রান্তে মিষ্টির রকমারি বাহার দেখা গেলেও বাঙালিদের সঙ্গে যে মিষ্টির সম্পর্ক সুগভীর সেটা হল রসগোল্লা। রসগোল্লা ছাড়া বাংলা এবং বাঙালিয়ানা দুটোই যেন অসম্পূর্ণ। তবে রসগোল্লা কোনদিন বাড়িতে বানিয়েছেন? আমাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই এমনটা অনেকবার হয়েছে যে খাওয়ার পরে ভাত বেঁচে গেছে।

তাহলে কি বাসি ভাতগুলো ফেলে দেবেন? না। এবার বেঁচে থাকা ভাত দিয়েই বানিয়ে ফেলুন মিষ্টি। খেতে কিন্তু হবে দারুণ সুস্বাদু। বানানোই খুবই সহজ এবং এই মিষ্টি কিন্তু স্বাস্থ্যকরও। তবে আর দেরি কেন? চলুন তাহলে চটপট জেনে নেওয়া যাক বাড়িতে গতকালের ভাত বেঁচে যাওয়া ভাত দিয়ে কিভাবে বানাবেন মিষ্টি। রইল রেসিপি।

উপকরণ:

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি উপকরণ লাগবে বাসি ভাত দিয়ে রসগোল্লা বানানোর জন্য। এই রেসিপিটি বানানোর জন্য প্রয়োজন হবে – ১ বাটি ভাত, ১ লিটার দুধ, ১ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, ১ কাপ চিনি, ১ টেবিল চামচ ময়দা, সামান্য কেশর এবং সামান্য পরিমাণে।

প্রণালি:

প্রথমেই একটি বাটিতে বেঁচে থাকা বাসি ভাত, পরিমাণ অনুযায়ী ময়দা এবং গুঁড়ো দুধ নিয়ে মিক্সিতে দিয়ে পেস্ট করে নিন। পেস্ট বানানো হয়ে গেলে সেটি একটি বাড়িতে তুলে রাখুন। এরপর গ্যাসে একটি পাত্র বসিয়ে তাতে দিয়ে দিন চিনি এবং পরিমাণ অনুযায়ী জল। তারপর চিনি আর জল ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে বানিয়ে ফেলুন রস। যত ভালো করে ফুটাবেন ততই রস্তা ঘন হবে। এরপর বাসি ভাত, গুঁড়ো দুধ এবং ময়দা দিয়ে তৈরি করা পেস্ট থেকে ছোট ছোট করে লেচি করে সেগুলোকে গোল আকার দিয়ে দিন।

তারপর সেই সেই গোল আকার বাসি ভাতের লেচিগুলোকে মিষ্টি চিনির রসের মধ্যে দিয়ে দিন। তারপর ভালো করে লেচিগুলো ফুটিয়ে নিন। এরপর একটি কড়াই নিয়ে তাতে দুধ আর চিনি দিয়ে হালকা আঁচে জ্বাল দিয়ে নিন। দেখবেন দুধ ঘন হয়ে গেলে মালাইয়ের মতো হয়ে যাবে। তারপর চিনির রস থেকে বাসি ভাতের লেচিগুলো তুলে চিনির রস থেকে তুলে মালাইয়ের মধ্যে দিয়ে দিন। এরপর কম আঁচে মালাই কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। তারপর ওপর থেকে ছড়িয়ে দিন কেশর আর পেস্তাবাদাম। এবার সাধারণ তাপমাত্রায় এনে পরিবেশন করুন কিন্তু ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডাও পরিবেশন করতে পারেন।

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।