আজকাল খাবার দাবার নিয়ে মানুষের চর্চা যেন একটু বেশিই বেড়ে গেছে। আসলে সবটাই ভাইরাল হওয়ার লোভ। আর খাবার হোক বা মানুষ একটু অন্যরকম হলেই তা আজকের ইন্টারনেটের যুগে দাঁড়িয়ে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। আর ভাইরাল হলেই মিলবে জনপ্রিয়তা। বিকোবে খাবার। আসবে টাকা। আর সেই জন্য সাধারণ খাবারকে অসাধারণ করবার লোভ সামলাতে পারেন না বিক্রেতারা।
বাঙালির অতি প্রিয় একটি খাবার হল ফুচকা। ৮ থেকে ৮০ সবাই এই খাবারটি খেতে ভালোবাসেন। বলা ভালো গোটা বিশ্বে ফুচকার মতো এত সুস্বাদু এবং লোভনীয় খাবার খুবই কম আছে। তবে বাংলার ফুচকার জুড়ি মেলা ভার। পেটের মধ্যে আলুর পুর ভরে তেঁতুল জলে ডুব দেওয়া ফুচকা যখন মুখের ভিতর চালান হয় তখন যেন মুখের ভিতর স্বাদের বিস্ফোরণ ঘটে।
মন খারাপের মধ্যে কেউ যদি বলে ফুচকা খেতে যাবি? তাহলে মুখে যেন হাসি খেলে যায়। সুখ হোক বা দুঃখ, আনন্দ সবকিছুতেই ফুচকা খাওয়াই যায়। বাঙালির কাছে ফুচকা একটা ইমোশন।
যদিও এখন সময়ের সঙ্গে বদলাচ্ছে ফুচকার স্বাদ। এখন তেঁতুল জলের পাশাপাশি জায়গা করে নিয়েছে পুদিনা পাতার জলও। মিলছে হরেক রকম পুর দেওয়া ফুচকা। এই যেমন কেউ দিচ্ছেন মাছ-মাংসের পুর, কেউ ঢালছেন চকলেট তো কেউ ছড়াচ্ছেন আবার চিজ।
তবে এবার পুজোর মরশুমে বাংলায় এক অন্য ধরনের ফুচকা বাজার কাঁপাতে এলো। ম্যাঙ্গো ফুচকা। বলেন টা কী? হ্যাঁ এমনতর ফুচকাই এবার পাওয়া যাচ্ছে মালদহে। ফুচকা প্রেমীদের জন্য পুজোর আগে মালদহতে খুলে গেছে প্রথম ফুচকা কর্নার। আর এখানের মূল আকর্ষণ ম্যাঙ্গো ফুচকা। আমের জন্য বিখ্যাত মালদহ আর সেই মালদহতেই এবার মিলছে আমের ফুচকা।
মালদহের তিন বন্ধু মিলে প্রথম এই, ফুচকার দোকান খুলেছেন। আমের স্বাদে গন্ধে ভরপুর এই ফুচকা হুলিয়ে বিকোচ্ছে। এক প্লেট ম্যাঙ্গো ফুচকার দাম রাখা হয়েছে ৫০ টাকা। সাধারণ জল ফুচকার মতোই আলু সেদ্ধ দেওয়া হচ্ছে ফুচকার ভেতরে। তার মধ্যে দেওয়া হচ্ছে পাকা আম ও কাঁচা আমের ফ্লেবার। ঝুরি ও আমসত্ত্ব। সেই সঙ্গে তেঁতুল জল। আমসত্ত্বের জন্যই এই ফুচকার স্বাদ একেবারে ভিন্ন রকম হয়ে উঠছে।