পেঁপে (Papaya), যা কিনা কাঁচায় এবং পাকায় দুইরুপেই ভোজনযোগ্য। এই পেঁপেকে যেকোনো অবস্থাতেই খাওয়া হলে তা খুবই স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। অনেক সময় রোগীর পথ্য হিসাবে খাবার জন্যও ডাক্তারেরা পরামর্শ দিয়ে থাকে। কিন্তু, তা বলে সবসময়ে পেঁপে সেদ্ধ করে খেতে তেমন কারোর ভালো লাগে না। আবার, অন্যদিকে মাথায় রাখতে হবে পেঁপেকে এমন ভাবে রান্না করতে হবে যাতে তার গুনাগুন নষ্ট না হয়।
ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষের লিভারের জন্য দারুন উপকারি। কিন্তু তা বাচ্চাদের বোঝায় কার সাধ্যি। রান্না কিংবা ভিন্ন খাবারের ধরনে ‘ভর্তা’ নামক শব্দটি খুবই প্রচলিত, তা সে আলুর হোক বা বেগুনের। ভর্তা মানেই বেশ একটা জমাটি পদ, যা শুখনো ভাতে মেখে খেতে দারুণ লাগে।
চলুন তাহলে বেশি দেরি না করে জেনে নেয়া যাক ‘পেঁপের ভর্তা’র রেসিপি। এই ভর্তা করতে উপকরণ স্বরূপ লাগবে- পেঁপে সিদ্ধ (পরিমাণ মতো), অল্প পেঁয়াজ কুচি, পরিমাণ মতো জিরে-ধনে-লঙ্কাগুঁড়ো, এক কোয়া রসুন, অল্প ধনেপাতা কুচি, একটা ডিম, পরিমাণ মতো তেল এবং স্বাদমতো নুন।
আরও পড়ুনঃ কমলার মরশুম! স্বাদ বদলে বানান কমলালেবু দিয়ে মাছের ঝোল! রবিবাসরীয় দুপুরে রেসিপি হিট হবেই
প্রথমেই পেঁপের টুকরোগুলোকে জলে অল্প নুন দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর, সিদ্ধ হওয়া পেঁপে গুলোকে ভালো করে চটকে ছাকনি দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে যাতে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায়। এরপর, একটি করাইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে একে একে পিয়াজ কুচি, পরিমাণ মতো জিরে-ধনে-লঙ্কাগুঁড়ো, এক কোয়া রসুন এবং নুন দিয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে। এরপর আলাদা পাত্রে এটিকে তুলে রেখে ঐ করাইয়ে একটা ডিম ফাটিয়ে ঝুরঝুরে করে ভেজে নিতে হবে। এবার একসঙ্গে এই ডিম এবং ভেজে রাখা পিঁয়াজকে মিশিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভাজতে হবে। এবার চটকে রাখা পেঁপেটিকে বাকি সব কিছু সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর আঁচ কমিয়ে কয়েক মিনিট ভালো করে নাড়াচাড়া করে সঙ্গে একটু ধনেপাতা কুচি মিশিয়ে দিয়ে ভাতের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘পেঁপে ভর্তা’।