খাওয়া-দাওয়ায় বিলাসিতার কথা বলতেই প্রথমেই যে জাতির কথা মাথায় আসে তাহলে বাঙালি জাতি। রসে বসে খাওয়া নিয়ে মজে থাকতে পারেন বাঙালি। দুপুরের পাতে দিয়ে শুরু হয় আর শেষ হয় মিষ্টি মুখে। সবকটি পদের মধ্যে অবশ্যই থাকবে মাছ, তা ঝাল হোক কিংবা ঝোল। এই ঝাল-ঝোল থেকে মাছের একটু আলাদা পদ রান্না বলতেই মনে পড়ে কালিয়ার কথা। তা হোক সে কাতলা কিংবা রুইয়ের।
কিন্তু, এই শীতে মন চাইছে না সেই আর কালিয়া খেতে। জিভে একেবারে কালিয়ার চড়া পড়ে গিয়েছে। তাই এই ঠান্ডার মরশুমে, মুখের স্বাদ বদলালে মন্দ হয় না। আচ্ছা, এই শীতে রান্নায় একটু কমলালেবুর ছোঁয়া থাকলে কেমন হয়? চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক নতুন একটা রেসিপি, নাম ‘কমলালেবুর মাছের ঝোল’।
এই রান্না করার জন্য উপকরণ স্বরূপ লাগবে- ৪ টুকরো কাতলা বা রুই মাছ, ১ চা চামচ আদা বাটা, ১ চা চামচ হলুদ এবং ধনে গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন এবং চিনি, পরিমাণ মতো সাদা তেল, ১ কাপ কমলা লেবুর রস, আধ কাপ কমলালেবুর শাঁস, ১টি তেজপাতা এবং শুকনো লঙ্কা, ১ টেবিল চামচ কনফ্লাওয়ার, আধ চা চামচ গোটা জিরে, একটি এলাচ ও দারচিনি এবং সবশেষে আধ চা চামচ গোটা গোলমরিচ।
আরও পড়ুনঃ হালুয়া তাও আবার বিটের! কনকনে শীতে বানিয়ে ফেলুন ‘বিটের হালুয়া’
প্রথমে মাছগুলিকে ভালো করে ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর, একটা ছোট লঙ্কার গুঁড়ো, আদা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, চিনি, আর জল দিয়ে ঘনঘন একটা মসলার মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এরপর করাইয়ে তেল দিয়ে সব গোটা গরম মসলা গুলোকে ফোঁড়ন দিয়ে ঐ মসলার মিশ্রণটিকে দিয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করার পর মসলা থেকে তেল বেরিয়ে এলে একটু গরম জল দিয়ে দিতে হবে। ঝোলটা কিছুক্ষণ ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলোকে দিয়ে দিতে হবে। এর পাঁচ মিনিট পর ঝোলে কমলার লেবুর রস ও শাঁস দিয়ে দিতে হবে। সবশেষে অল্প জলে কনফ্লাওয়ার গুলে ঝোলে দিয়ে কয়েক মিনিট ফুটিয়ে গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন ‘কমলালেবুর মাছের ঝোল’।