ঢাকে কাঠি পড়ল বলে। আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই মা দুর্গা সপরিবারে বাপের বাড়ি আসবেন। দুর্গাপুজো মানে ভরপুর খাওয়াদাওয়া। খাদ্যরসিক বাঙালির পুজোর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ খাওয়াদাওয়া। পুজোর সময় অনেক বাড়িতে নিরামিষ খাওয়ার চল রয়েছে। ষষ্ঠী বা অষ্টমীতে তো নিরামিষ খাওয়ার রীতি আছে। কিন্তু একঘেয়ে লুচি বা ছোলার ডাল দিয়ে কি আর পুজোর দিন ভাল লাগে? বদলে পুজোর নিরামিষ মেনুতে থাক ঠাকুরবাড়ির ছোঁয়া। বাড়িতে ঝটপট রেঁধে ফেলুন বেগুনের কোর্মা ( Begun Korma )।
উপকরণ-
বেগুন ৩টি, টক দই ২ কাপ, টমেটো কুচি ১ কাপ, নুন স্বাদ মতো, চিনি ১ টেবিল চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ, গোটা গরম মশলা ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ১টি, শাহ জিরে গুঁড়ো ১ চা চামচ, হলুদগুঁড়ো ১/২ চা চামচ, আদাবাটা ১/২ চা চামচ, জয়িত্রী এক চিমটে, হিং এক চিমটে, ঘি ১ টেবিল চামচ, সর্ষের তেল ১/২ কাপ।
প্রণালী-
প্রথমে কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে নিন। তারপর নুন হলুদ মাখিয়ে বোঁটা সমেত লম্বা করে কেটে রাখা বেগুন ভেজে নিন। এবার ছোট একটি পাত্রে সামান্য হিং জল দিয়ে গুলে রাখুন। পাথরের হামানদিস্তে বা শিলে গোটা গরম মশলা হালকা করে বেটে নিন। একেবারে মিহি করবেন না। খানিক ডানা থাকলে ভাল।
এবার বেগুনভাজার তেলে তেজপাতা ও গরমমশলা ফোড়ন দিয়ে দিন। হালকা রং এলে হিঙের মিশ্রণটিও দিয়ে দিন। যতক্ষণ না মশলা থেকে তেল ছাড়ছে ততক্ষণ টমেটো কুঁচি, সব গুঁড়ো মশলা এবং আদা বাটা দিয়ে ভাল করে নেড়েচেড়ে কষতে থাকুন। তেল ছাড়লে দই ভাল করে ফেটিয়ে নিয়ে কড়াইতে দিয়ে দিন। দই থেকে তেল ছাড়তে শুরু করলে দিয়ে দিন স্বাদ মতো নুন এবং চিনি। তারপর ফোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
আরও পড়ুনঃ পেঁয়াজ-রসুন লাগবে না! বানান হালকা ও সুস্বাদু পোনা মাছের রসা, একবার খেলে এর স্বাদ মুখে লেগে থাকবে
মিনিটখানেক ফুটিয়ে ভেজে রাখা বেগুনগুলি দিয়ে দিন। ঝোল ঘন হয়ে গেলে ওপর থেকে ঘি, জয়িত্রী এবং শাহ জিরের গুঁড়ো ছড়িয়ে আঁচ বন্ধ করে দিন। খানিকক্ষণ চাপা দিয়ে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে ঠাকুরবাড়ির বেগুনের কোর্মা ।