এসে গেছে গ্রীষ্মকাল। আর গ্রীষ্মকাল বলতেই আমাদের সকলের সর্বপ্রথম মনে পড়ে ফলের রাজা আমের কথা। আম খেতে ভালোবাসেন এরকম মানুষ মেলা ভার। আমের চাটনি, আমের আচার বা আমের সন্দেশ, আমের তৈরি যে কোন রেসিপিই যেন খাওয়ারে আলাদাই মাত্রা এনে দেয়। এই বছর যদিও কালবৈশাখীর মুখ দেখা যায়নি বাংলায়। তবে ইতিমধ্যেই যা ঝড় বৃষ্টি হয়েছে তাতে বেশ কয়েকটা আম নিশ্চয়ই পড়েছে আপনাদের উঠোনে। তাহলে ব্যস আর দেরি কেন! চলুন আম দিয়ে আজ এমন কিছু বানানো যাক যেটা খেলে ভরবে আপনাদের মন এবং পেট।
গরমের দুপুরে তাহলে চলুন বানিয়ে ফেলা যাক দক্ষিণী পদ ম্যাঙ্গো রাইস। তবে তার আগে প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি কাঁচা আম এই গরমে আপনাদের ডিহাইড্রেশনকে প্রতিরোধ করে। এছাড়াও গরমে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনালের সমস্যা, হার্টের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্লতা, বদহজম উপশম করে। তাছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, দাঁতের ব্যাথা, লিভারের সমস্যার, আমাশয়, বমি বমি ভাব দূর করে। তাহলে চলুন জেনে নিই কি কি উপকরণ লাগবে এই রেসিপিটি বানাতে।
উপকরণ:
২ কাপ চাল, ১টি কাঁচা আম, ১ টেবিল চামচ ছোলার ডাল, আধ কাপ বাদাম, ১ টেবিল চামচ বিউলির ডাল, ২টি শুকনো লঙ্কা, আধ চা চামচ সর্ষে, ১ চিমটি হলুদ, ১ টেবিল চামচ কাঁচা লঙ্কা কুচি, এক মুঠো কারি পাতা, ১ টেবিল চামচ আদা কুচি, ১ টেবিল চামচ তেল এবং স্বাদ অনুযায়ী নুন।
প্রণালী: প্রথমে চাল ভালো করে ধুয়ে গ্যাসে বসিয়ে রান্না হয়ে গেলে মা’র বের করে নিন। তবে চালগুলো একটু শক্ত শক্ত থাকতে থাকতেই নামিয়ে নেবেন। তারপর কাঁচা আমটির খোসা ছাড়িয়ে কুরিয়ে নিন। এরপর কড়াইয়ে তেল দিয়ে দিন। তারপর তেল গরম হলে বাদামগুলো দিয়ে নাড়াচাড়া করে একটি পাত্রে তুলে রাখুন। তারপর কড়াইয়ে এরও খানিকটা তেল দিয়ে গোটা সর্ষে, বিউলির ডাল, ছোলার ডাল এবং শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে নিন।
এইভাবে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে কড়াইয়ে কারি পাতা, কাঁচা লঙ্কা কুচি এবং আদা কুচি দিয়ে দিন। এরপর উপকরণগুলো একটু ভাজা ভাজা হলে কড়াইয়ে আগে থেকে কুরিয়ে রাখা আম দিয়ে দিন। তারপর কড়াইয়ে সামান্য নুন এবং হলুদ গুঁড়ো দিয়ে গ্যাসের আঁচ কমিয়ে ভেজে নিন। এরপর আম নরম হয়ে এলে আগে থেকে রেঁধে রাখা ভাত অল্প অল্প করে কড়াইয়ে দিয়ে দিন। এবার ভালো করে সবটা মিশিয়ে নিয়ে ওপর থেকে বাদাম ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ম্যাঙ্গো রাইস। খেতে কিন্তু একেবারে দারুন।