Food

এই গরমে গরমভাত হোক বা পান্তা, দুপুরের খাওয়া জমে যাবে এই তিন ভর্তায়! রেসিপি মিস করবেন না

বৈশাখের তপ্ত গরমে মেঝেতে বসে কাঁচালঙ্কা, কাঁচা পেঁয়াজ এবং গন্ধরাজ লেবু দিয়ে পান্তাভাত। এরকম দুপুর আর সচরাচর দেখতে পাওয়া যায়না কোন বাড়িতেই। তবে এইরকম প্রখর গরমে সপ্তাহে অন্তত একদিন পান্তাভাত খাওয়ার চলটা বোধ হয় বাঙালি বাড়িতে এখনও রয়ে গেছে। অনেকেই এখনও এখনও এইভাবে পান্তাভাত খেতে ভালোবাসেন খুব। আবার অনেকেই আবার এর সঙ্গে সাইড ডিশ হিসেবে খান বড়া বা কোন তরকারি।

আমরা প্রত্যেকেই আলাদা মানুষ তাই স্বাভাবিকভাবেই আমাদের পছন্দটাও আলাদা আলাদা। কেউ পোস্ত দিয়ে পান্তা খান বা কেউ ডালের বড়া। তবে কেউ কখনও ভর্তা দিয়ে পান্তাভাত খেয়েছেন কখনও? ভর্তা দিয়ে পান্তাভাত খেতে কিন্তু দারুন লাগে। তবে সকলের আবার একই জিনিস ভালো নাও লাগতে পারে, তাই আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ৩টে আলাদা রকমের ভর্তা। যদিও গরম ভাতের সঙ্গেও কিন্তু একেবারে জমে যাবে এই ভর্তা। তাহলে আর দেরি কোন চটপট চলুন দেখে নিই তিনটে ভর্তার রেসিপি।

ছোলার ডালের ভর্তা: ডালের বড়া দিয়ে পান্তাভাত তো অনেকেই খেয়েছেন। তার স্বাদ সত্যিই অপূর্ব। তবে এবার চলুন ছোলার ডাল দিয়েই বানিয়ে ফেলি ভর্তা।

উপকরণ: ভর্তা বানানোর জন্য প্রয়োজন ২৫০ গ্রাম সেদ্ধ করে রাখা ছোলার ডাল, রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি, ৩-৪টে কাঁচালঙ্কা, পরিমাণ অনুযায়ী সর্ষের তেল এবং স্বাদ অনুযায়ী নুন।

প্রণালী: প্রথমে কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম করে তাতে কাঁচালঙ্কা কুচি, রসুন কুচি এবং পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন। তারপর মিক্সিতে পেস্ট করে নিন সেদ্ধ ছোলার ডাল। এরপর ছোলার ডাল বাটার মধ্যে আগে থেকে ভেজে রাখা রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচালঙ্কা কুচি দিয়ে তাতে সামান্য পরিমাণে নুন দিয়ে ভালো করে মেখে নিলেই ব্যস তৈরি আপনার ছোলার ডালের ভর্তা।

ছাতুর ভর্তা: ছাতুর ভর্তা শুনে অবাক হচ্ছেন তো। কিন্তু পান্তাভাতের সঙ্গে একটা কিছু একটা দারুন সাইড ডিশ। তবে এটি তৈরি করাও খুব সহজ। এই রেসিপিটি বানাতে লাগবে ছাতু, কাঁচালঙ্কা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি, ঝুড়িভাজা বা চানাচুর, পরিমাণ অনুযায়ী সর্ষের তেল এবং স্বাদ অনুযায়ী নুন।

প্রণালী: প্রথমে পরিমাণ মতো ছাতু নিয়ে নিন একটি বাটিতে। এরপর তাতে যোগ করুন কাঁচালঙ্কা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি, সর্ষের তেল এবং স্বাদ অনুযায়ী লবণ। তারপর উপর দিয়ে অল্প অল্প করে চামচের সাহায্যে জল দিয়ে দিয়ে আটার গোল্লার মতো করে মেখে নিন ছাতু। ব্যস তাহলে তৈরি আপনাদের ছাতুর ভর্তা। এরপর উপর দিয়ে ছড়িয়ে দিন চানাচুর না ঝুড়িভাজা। পান্তা ভাতের সঙ্গে এই ছাতুর ভর্তা খেতে কি যে ভালো লাগে সেটা আপনারা একবার ট্রাই না করে বুঝবেন না। তাই জলদি বানিয়ে ফেলুন এই রেসিপিটি।

ডিমের ভর্তা: আমিষ সমস্ত কিছুর সঙ্গেই খুব সহজেই বানাতে পারবেন আপনারা এই রেসিপিটি।উপকরণগুলোও প্রায় সব একই লাগবে। তবে ডিমের দিয়ে কিভাবে আপনারা এই ভর্তার রেসিপিটি বানাবেন তাহলে এবার চলুন সেটা জেনে নেওয়া যাক।

উপকরণ: ডিমের ভর্তা বানানোর জন্য উপকরণ হিসেবে লাগবে চারটে ডিম, রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি, শুকনো লঙ্কা, কাঁচালঙ্কা কুচি, ধনেপাতা কুচি, গোলমরিচ গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কা কুচি, মাখন, পরিমাণ অনুযায়ী সর্ষের তেল এবং স্বাদ অনুযায়ী লবণ

প্রণালী: প্রথমে সেদ্ধ করে নিন ডিমগুলো। এরপর ডিম সেদ্ধর মধ্যে খানিকটা মাখন দিয়ে ভালো করে
চটকে মেখে নিন। তারপর কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম করে তাতে রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি দিয়ে হালকা আঁচে ভেজে নিন। সমস্ত উপকরণগুলো নরম নরম করে ভেজে নিতে তুলে রাখুন একটি পাত্রে। এরপর ওই তেলেই শুকনো লঙ্কাগুলো একটু কড়া করে ভেজে নিন। এবার একটি পাত্রে ডিম মাখা, নরম করে ভেজে রাখা রসুন কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, ভেজে রাখা শুকনো লঙ্কা, স্বাদ অনুযায়ী লবণ এবং গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। তারপর শেষে উপর দিয়ে সর্ষের তেল এবং ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে দিলেই রেডি আপনাদের ডিমের ভর্তা।

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।