চলছে এখন শীতের মরসুম। আর বাঙালিদের কাছে শীতের মরসুম মানেই জমাটি পেট পুজো এবং আনন্দ। ঘরোয়া ফুলকপির বড়া থেকে শুরু করে বছর শেষে ফিউশন ফুড ডুব দিতে চায় সকলেই। বছরের শেষ হোক বা শুরু বেশিরভাগ মানুষই এই দিনগুলিকে পালন করতে চায় সাহেবী আদব-কায়দায়। তাই খাদ্য তালিকায় তার প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। পেস্ট্রি, ফ্রুট কেক, বিভিন্ন ধরনের ডোনাট এমনকি ড্রিঙ্কসেও থাকে নানা প্রকারভেদ।
শীতকাল মানে মোয়া, নানা ধরনের পিঠে-পুলি, পায়েস আরও কত কী আবার সঙ্গে যোগ হয় নিউ ইয়ারের আমেজ তাহলে আর কোনো কথাই নেই। এই সময় বিশেষত সবকিছু খাবারের মধ্যে থাকে মিষ্টির ছোঁয়া, কিন্তু এই সময় শুধু মিষ্টি নয় শীতের রাতে পাইসি খাবার খেতে মন চায় অনেকের। আর এই খাবারেই যদি বাঙালিআনার সঙ্গে অভিনবত্বের মেলবন্ধন ঘটে তাহলে কেমন হয়? তবে, চলুন দেখে নেয়া যাক ‘চিংড়ি মাছের পাটিসাপটা’র নানা উপকরণ।
এই রান্নার জন্য উপকরণ হিসেবে লাগবে চালের গুঁড়ো ২৫ গ্রাম, ময়দা ১২৫ গ্রাম, অল্প নুন, পনির ৪০ গ্রাম, মাখন ২৫ গ্রাম, চিংড়ি মাছ ৫০০ গ্রাম, ধনেপাতা কুচানো ১ টেবিল চামচ, ডিম ১টা, দুধ ৩০০ মিলি, পিয়াজ ১টা এবং ভাজার জন্য পরিমাণ মতো অলিভ অয়েল বা মাখন।
প্রথমে চিংড়ি মাছ গুলোকে ভালো করে ভেজে নিতে হবে। তারপর, একটি প্যানে পরিমাণ মতো অলিভ অয়েল দিয়ে কুচানো পেঁয়াজগুলোকে ভালো করে ভাজতে হবে। এরপর ২৫ গ্রাম ময়দা এবং ২৫ গ্রাম মাখন দিয়ে একটা হালকা মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এরপর মিশ্রণটিতে ৩০০ মিলি দুধ দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত মিশ্রণটি ঘন হয়ে আসছে। এরপর আগুনের আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে তার মধ্যে নুন, লঙ্কা, পনিরের টুকরো, এক টেবিল চামচ ধনেপাতা ও ভিজে রাখা চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে ভালোভাবে পুর তৈরি করে নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ‘শীতের রান্নায় স্বাদ বদল!’ মিষ্টির সঙ্গে ঝালের মেলবন্ধন। রইল ‘ছানা পালং পাটিসাপটা’র রেসিপি
এরপর একটি পাত্রে চালের গুঁড়ো ময়দা এবং নুন দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর ডিম এবং ৩০০ মিলি দুধ মিশিয়ে একটা ঘন ব্যাটার তৈরি করে নিতে হবে। প্যানে মাখন গরম করে তৈরি করা এই ব্যাটারটি দিয়ে রুটির আকারে চারিদিকে ছড়িয়ে তৈরি করতে হবে এবং একটু কুক হয়ে গেলে এর ওপরে চিংড়ি মাছের পুর দিয়ে পাটিসাপটার মতো রোল করে নিতে হবে।। এরপর এপিঠ ওপিঠ করে ভালো করে ভিজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ‘চিংড়ি মাছের পাটিসাপটা’।