‘বাংলা’ শব্দটির মধ্যে জুড়ে রয়েছে ইমোশান। বাংলা শুধু ভাষা নয়, বাংলার মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে এক সুন্দর শিল্প-সংস্কৃতি। বাঙালির খাবারের মধ্যেও রয়েছে মানুষের ভালোবাসা। বাংলার শাকসবজি, মাছ, থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের যে নানারকম বাহার, তা দেখা মেলে না অন্যকোনও দেশে। তাই বাংলাকে সবার সেরা বলা হয়। বাংলায় রয়েছে ‘১২ মাসে ১৩ পাব্বন’। তবে বর্তমানে মানুষ কাজের সূত্রে অনেকসময় বিদেশ যান। কেউ পড়াশোনার জন্য, আবার কেউ কাজের দরকারে।
প্রয়োজনে নিজ দেশ ছেড়ে যেতে হয় জাপান, লন্ডন, ব্রিটেন-এরূপ নানান জায়গায়। আর সেখানে গিয়ে দেশবাসী মিস করেন এই বাংলার ঐতিহ্যকে। খাবার থেকে শুরু করে, পোশাক-আশাক। কিন্তু উপায় কই? তাই বিদেশেই বাংলাকে বুকে রেখেই পড়ে থাকতে হয়। আবার অনেকের পরিজন পার্সেল করে বাংলার জিনিস পৌঁছে দেয় বিদেশে। তবে তাতে কি আর স্বাদ মেটে?
এবার লন্ডনবাসীদের জন্য সুখবর। যাঁরা জানেন, তাঁরা তো আগেই গিয়েছেন। তবে যাঁরা জানেন না, এবার তাঁরা অবশ্যই যাবেন। লন্ডনের মধ্যেই রয়েছে এক টুকরো ‘বাংলা’। বাংলার সকলকিছুই সেখানে প্রায় বর্তমান। সে খাবার বলো বা পোশাক। রয়েছে সমস্তকিছুর মধ্যে বাঙালি ছোঁয়া। শহরটি দেখতেও অনেকটা বাংলার মতোই, যেন বাংলার একটুকরো অংশ। রাস্তার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে নানান সবজি, দোকানের নেমপ্লেটে রয়েছে বাংলা ভাষায় লেখা নাম।
লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল স্টেশনে নেমেই দেখতে পাবেন এই শহরকে। যেখানে আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে বাংলা। ‘হাজি নান্নার বিরিয়ানি’, ‘পাঁচ ভাই’ স্ন্যাকসের দোকান, ‘পঞ্চখানা’ মিষ্টির দোকান থেকে শুরু করে বাংলার প্রতিটি মাছ রয়েছে সেখানের দোকানে। চিংড়ি, পুটি, ট্যাংরা,পদ্মার ইলিশ, ভেটকি থেকে শুরু করে বাংলার প্রতিটি মাছ বিক্রি হচ্ছে দোকানে।
শুধু তাই নয়, রয়েছে নানান আচারের দোকান, দেখতে পাওয়া যাবে ঘটিগরম। দোকানে রয়েছে পাকা আম, গন্ধরাজ লেবু, কাঁঠাল, সুপারি, নারকেল, শাক, লাউ, কুমড়ো প্রভৃতি বানান শাকসবজি ও ফল। ফুটপাথেই বসে সারি সারি মাছের দোকান। সাথে রয়েছে বাংলার হাতে বোনা শিল্পের ছোঁয়া। শাড়ি থেকে শুরু করে শাল, চাদর। সমস্তকিছুই পাওয়া যাচ্ছে সেখানে। যেন একটা ছোট্ট বাংলা। লন্ডনের বাঙালিদের জন্য এ এক স্বর্গ। যে স্বর্গের খোঁজ পেল এবার সকলেই এক লন্ডনেরবাসীর থেকেই। তিনি তাঁর ভিডিওতে তুলে ধরেছেন সেই ছোট্ট ‘বাংলা’ শহরকে।