Viral

কে’লে’ঙ্কা’রি! ছবি তুলতে এসে যশের সামনেই নুসরতকে সিঁদুর পরিয়ে দিল ফ্যান! রেগে আ’গুন নায়ক

সদ্য রিলিজ হয়েছে যশ ও নুসরাতের নতুন ছবি ‘সেন্টিমেন্টাল’। শুরুর দিন থেকেই নেট দুনিয়ায় সাড়া ফেলেছে এই সিনেমা। যশরতের সিনেমা নিয়ে অনুরাগীদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। তারমধ্যেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে অন্য কারণে।

অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের অনুরাগী সংখ্যা কম নয়। শয়নে, স্বপনে নুসরাতকে দ্যাখেন অনেকেই। অভিনেত্রীর সঙ্গে ছবি তোলার আবদারও করেন অনেকে। কিন্তু তা বলে সরাসরি বিয়ে! অভিনেত্রীদের বিয়ের প্রস্তাব দিতে চান অনেকেই। কিন্তু সামনে দাঁড়িয়ে সিঁদুর পরানোর সাহস হয় কজনের! কিন্তু সম্প্রতি এমনই এক অভিজ্ঞতার সামনে পড়তে হল টলি অভিনেত্রী নুসরাত জাহানকে। ভালোবেসে ভক্ত একেবারে সিঁদুর পরাতে এল নুসরাতকে, তাও কিনা যশের সামনেই।

সম্প্রতি নতুন মুভি ‘সেন্টিমেন্টাল’-এর প্রোমোশানে উপস্থিত হয়েছিলেন যশ ও নুসরাত। আর সেখানেই আচমকা এক ফ্যান সিঁদুর পরাতে আসে তাঁকে। প্রথমে ভক্তের আব্দার ছিল নুসরাত কে সে ফুলের তোড়া দেবে। খানিক আপত্তি থাকলেও ফুলের তোড়া নিয়ে নেন অভিনেত্রী। এরপরই ব্যাগ থেকে মালা বের করেন ভক্ত! আব্দার করেন অভিনেত্রীর গলায় মালা দেবেন। যশ খানিক রেগে যান এতে। নুসরাতও রাজি ছিলেন না। কিন্তু শেষে নিমরাজি হয়ে মালা পরেন অভিনেত্রী।

আরো পড়ুন: বাবার কাছে নীলের সঙ্গে সংসার করার ইচ্ছে প্রকাশ মেঘের! শুনতে পেয়ে নতুন ফন্দি আঁটা শুরু ময়ূরীর! ইচ্ছে পুতুলে তোলপাড়

এরপরই ভক্ত তাঁর ব্যাগ থেকে সিঁদুর বের করেন। আর বলেন নুসরাতকে সিঁদুর পরাতে চান তিনি। এরপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যশ তো রেগে বলেই দেন নুসরাতকে যে “কি ছবি করেছো তুমি যার জন্য এরকম ফ্যান হয়!” অন্যদিকে নুসরাত কপাল ঢেকে দাঁড়িয়ে থাকেন। অনুরাগী সমানে কাকুতি মিনতি করে যান সিঁদুর পরানোর জন্য। এরপরই যশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয় রেগেমেগে জ্বলে ওঠেন যশ। এমনকি সিকিউরিটিকেও ডাকা হয়।

কিন্তু এতসব কিছুর পর জানা যায় গোটা ঘটনাটি একটি প্র্যাঙ্ক তথা মজা ছিল। ‘প্র্যাঙ্কবাজ’ নামক একটি নামকরা চ্যানেলের দুজন ইউটিউবার এই মজাটি করেন যশরতের সঙ্গে। সব জানার পর বেশ মজা পান যশ ও নুসরাত। যদিও অভিনেত্রী বলেন, “এবার থেকে বলে মজা করিস বাবা, নয় তো এমন ভয়ে হার্ট ফেল না হয়ে যায়।” ভিডিয়োটি বর্তমানে যথেষ্ট ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।