জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

সামনের মাসেই বসবেন বিয়ের পিঁড়িতে, তার আগেই বড়সড় দুর্ঘ’ট’নার মুখে অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার! কী ঘটেছে অভিনেত্রীর সঙ্গে?

দর্শকের রুচি বদলেছে অনেকটাই। এখন আর সাধারণ প্রেমের গল্পে মন ভরে না কারও। বরং চাই দমবন্ধ করা উত্তেজনা, এমন রহস্য যেখানে শেষ দৃশ্য পর্যন্ত সামনে আসে না সত্যি। সেই বদলে যাওয়া সময়কে মাথায় রেখে পরিচালক সৌমাভ বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করেছেন নতুন মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার অটোবি। ছবিতে মধুমিতা সরকার ছাড়াও আছেন ইনায়া চৌধুরী, সাহেব চট্টোপাধ্যায়, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরিয়ান ভৌমিক। কাহিনির কেন্দ্রবিন্দু দুই বোন ডিম্পল এবং তানিয়া। ছোটবেলায় বাবা মাকে হারানোর দুঃসহ স্মৃতি তাঁদের জীবনে তৈরি করেছিল গভীর অস্থিরতা যার প্রভাব বড়ো হয়েও কাটাতে পারেনি ডিম্পল।

বোন তানিয়ার প্রতি ডিম্পলের এই অস্বাভাবিক রক্ষণশীলতা সময়ের সঙ্গে শ্বাসরুদ্ধকর হয়ে ওঠে। শিক্ষক তানিয়া নিজের জীবনের ছন্দে এগোতে থাকলেও ডিম্পল সংসারী জীবনে স্থির হতে চান। ঠিক এই সময়েই সব ওলটপালট হয়ে যায়। হঠাৎই ঝাড়গ্রাম থানার ফোনে জানা যায় তানিয়া কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ। শেষবার তাঁকে দেখা গেছে ভয়ঙ্কর চামসুট্টি জঙ্গলের সামনে যা স্থানীয়দের কাছে পরিচিত আত্মহত্যার জায়গা হিসেবে। গুঞ্জন আছে জঙ্গলে ঢুকলেই মৃত্যু ডেকে আনে আর এই খবর ডিম্পলের মনে অজানা আতঙ্কের জন্ম দেয়।

বোনকে খুঁজে পেতে এক মুহূর্ত দেরি করেন না ডিম্পল। পথে তাঁর দেখা হয় বাংলাদেশের সাংবাদিক শাকিব এবং স্থানীয় গাইড শমিকের সঙ্গে। শমিকের সতর্কবার্তা জঙ্গলের ভেতর প্রযুক্তি কাজ করে না আর সূর্যাস্তের পরই শুরু হয় প্রকৃত বিপদ। ক্রমে জঙ্গলের গভীরতা বাড়তেই সবকিছু অদ্ভুত হয়ে ওঠে। অচেনা ফিসফিসানি ছায়ার সরে যাওয়া দূর অতীতের দুঃস্বপ্ন ফিরে আসা সব মিলিয়ে ডিম্পল বুঝতে পারেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। একসময় সন্দেহের তীর তাকায় শাকিবের দিকেও এবং প্রশ্ন ওঠে নিখোঁজ হওয়ার নেপথ্যে সত্যিই কি কেউ আছে নাকি জঙ্গলই মানুষের মনকে বিপথে নিয়ে যায়।

পরিচালকের মতে অটোবি নিখোঁজ এক নারীর অনুসন্ধান হলেও এর ভিতরে লুকিয়ে আছে মানুষের মনের অন্ধকার স্তর। যত্নের আড়ালে যে অধিকারবোধ তৈরি হয় তা অনেক সময়ই হয়ে ওঠে শ্বাসরোধের কারণ। চামসুট্টি জঙ্গল শুধু পটভূমি নয় বরং ডিম্পলের মানসিক ভাঙনের প্রতিচ্ছবি যেখানে দাঁড়িয়ে চরিত্ররা যেমন নিজের ভয়কে আবিষ্কার করে দর্শকও নিজের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রশ্ন করতে বাধ্য হন। প্রযোজক ডিকে ভারতীর কথায় পরিচিত জঙ্গলকে এক ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষের মতো তুলে ধরা এই ছবির আসল শক্তি এবং অতিপ্রাকৃত উপাদান মিলিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হবে।

এরই মাঝে বাস্তব জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন মধুমিতা। বহু বছর ব্যক্তিগত জীবন আড়ালে রাখার পর শৈশবের বন্ধু এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার দেবমাল্য চক্রবর্তীর সঙ্গে চার হাত এক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। দুই বছরের সম্পর্ক এবার আনুষ্ঠানিক পরিণতি পেতে চলেছে আগামী তেইশ জানুয়ারি বারুইপুর রাজবাড়িতে আর রিসেপশন হবে পঁচিশ জানুয়ারি শোভাবাজার রাজবাড়িতে। বিচ্ছেদ আর দীর্ঘ বিরতির পর নতুন করে নিজেকে খুঁজে পাওয়া মধুমিতার জীবনে এই বিয়ে এনে দিচ্ছে স্থিরতা এবং ফিরে আসছে সুখের আলো।

Piya Chanda