জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

দিদির প্রতা’রণার জাল ছি’ন্ন করে সত্যকে সামনে আনার অদম্য লড়াইয়ে বোন! অবশেষে নিশার মুখোশ খুলে দিল উজি, নিজের জীবন বাজি রেখে ঋষির টাকা উদ্ধার করে ন্যায়ের পথে প্রথম পদক্ষেপ ফেলল সে! ‘জোয়ার ভাঁটা’য় নতুন মোড়!

জি বাংলার ‘জোয়ার ভাঁটা’ (Jowar Bhanta) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, উজি প্রচন্ড গ্লানিবোধে ভুগতে থাকে। একদিকে তার মৃ’ত বাবার মুখটা ভেসে উঠলে, ঋষিকে দোষী আর নিজেরা যা করছে সেটা যেমন ঠিক মনে হয়। অন্যদিকে, তার হাত ধরে ঋষির স্বীকারোক্তি যে আজ পর্যন্ত কারোর সঙ্গে অন্যায় করেনি। এটা মনে পড়তেই আবার নিজেকে দোষী মনে হতে থাকে উজির।

কী করবে, কার পাশে দাঁড়াবে আর বাবার আসল খুনি কে, সেটা এবার বের করতেই হবে ঠিক করে উজি। অন্যদিকে, শিবনারায়ণ বাবুকে অফিসার থানায় নিয়ে আসেন জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। উজি ও নিশার মিথ্যে বাবা তিমির বাবু ওরফে শিবনারায়ণ বাবু দুশ্চিন্তায় পড়ে যান, যদি মুখ থেকে বেফাঁস কিছু বেরিয়ে যায়। ততক্ষণে নিশা একজন উকিল নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়।

উকিল কোর্ট থেকে অর্ডার আনে যে জোর করে শিবনারায়ণ বাবুকে কিচ্ছু জানতে চাওয়া হবে না, কারণ ওনার একটা মানসিক সমস্যা আছে আর অতীত ও বর্তমান গুলিয়ে ফেলেন। তাই একজনকে সঙ্গে রাখতে হবে। এরপর উকিলকে নিয়েই শিবনারায়ণ বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেন জিৎ বসু। উজি-নিশা কোন স্কুল ও কলেজে পড়েছে এসব জানতে চান তিনি।

তিনি প্রত্যেকবার ভিন্ন ভিন্ন উত্তর দেওয়াতে অফিসার রেগে যান আর উকিল বলেন এভাবে ওনাকে জোর দিলে ক্ষতি হবে, তাই জিজ্ঞাসাবাদ শেষে করে দেওয়া হোক। এদিকে উজি ঠিক করে ফেলে যে নিশার কাছে থেকে ঋষিদের টাকাটা উদ্ধার করতেই হবে, নাহলে পুরো পরিবার আর এতগুলো ভালো মানুষের ক্ষতি হয়ে যাবে। কিন্তু উজিকে হাতেনাতে ধরার জন্য শঙ্খ একটা চিপ আনে।

ইশিকা আর কাকিকে বলে যে এটা কোনোভাবে উজির ফোনে লাগিয়ে দিতে পারলেও আসল সত্যিটা বেরিয়ে আসবে। শিবনারায়ণ বাবু নিশাকে বলেন যে তিনি আর চাপ সহ্য করতে পারছেন না, এবার যদি হার্ট অ্যাটাকে মারা যান! নিশা আতঙ্কিত হয়ে বলে যে, তার বাবাকে সে একইভাবে হারিয়েছে আর কাউকে হারাতে দেবে না। এদিকে উজি এসে নিশার কাছে জানতে চায় ঋষির টাকা কোথায় রেখেছে। নিশা না বললেও, উজি ঠিক খুঁজে বের করে।

Piya Chanda