আর জি কর (RG Kar) হাসপাতালের নৃশংস ঘটনায় উত্তাল হয়ে আছে সারাবাংলা।রাজ্য জুড়ে চলছে প্রতিবাদ। রাস্তায় নেমে এসেছেন গোটা রাজ্যের সাধারণ মানুষ।তাদের দাবি একটাই ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। সাধারণ মানুষের সাথে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বিশিষ্টজনেরাও। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হোক বা রাস্তায় নেমে মিছিলের অংশ হয়ে গিয়ে এই ঘটনার বিচার চেয়ে গলা চড়িয়েছেন তারা।তা সত্ত্বেও তাদের একাংশকে হতে হচ্ছে চরম কটাক্ষের শিকার। এই নিয়েই আক্ষেপের সুর ‘নীলাঞ্জনা’র প্রেমিক নচিকেতা চক্রবর্তীর (Nachiketa Chakraborty) গলায়।
আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে সমাজ মাধ্যমে নিজের লেখা ‘মা তুমি এসো না’ কবিতাটি পাঠ করেন।সেই কবিতা সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে গেলে নচিকেতাকে নিয়ে ট্রোলিং শুরু করে নেটিজেনরা। এই বিষয় নিয়ে নচিকেতা বলেন ‘‘‘প্রথম প্রতিবাদ তো আমিই করেছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি, কারও পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ না করলে ট্রোলিং শুরু হবে!’’ নচিকেতার মতে, প্রতিবাদ কী ভাবে করা উচিত, সেটা একান্তই ব্যক্তির নিজের উপর নির্ভর করে। তাঁর কথায়, ‘‘সেখানে আমাকে শুনতে হচ্ছে, আমি কেন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছি না! বাঙালির এই চেহারা আমার দেখা ছিল না।
নচিকেতা বরাবরের পরিচিত প্রতিবাদী মুখ। নানান বিষয়ে বা ঘটনায় তাকে প্রতিবাদ করে দেখা গেছে। তার প্রতিবাদী গানগুলি এখনও সমান জনপ্রিয়। সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের সময় রাস্তাতেও নেমেছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন তার বয়স হয়েছে,তার শরীরে এত বছরে ধুলো জমেছে তাই তিনি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে পারছেন না। যারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন তাদেরকেও ট্রোলড হতে হয় বলে তিনি অপর্ণা সেনের উদাহরণ দেন।
আরও পড়ুন: অবশেষে পারমিতাকে উদ্ধার করে আনল ফুলকি! শত চেষ্টা করেও পারমিতা-অংশুমানের বিয়ে আটকাতে পারল না হৈমন্তী
উল্লেখ্য, নচিকেতার আক্ষেপ যে ৩১ বছর ধরে বাঙালির জন্য নিজেকে সঁপে দেওয়ার পরেও ট্রোল হতে হল তাকে।সেই নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন গায়ক। তা সত্ত্বেও মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন দেখে খুশি হয়েছেন তিনি। আবার অন্যদিকে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তিনি। তার মতে,’পুরো বিষয়টার মধ্যেই রাজনীতি ঢুকে গেছে।’ ঘটনার পর থেকে রাজ্য জুড়ে যে হিংসার পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে সেটাকে ‘লাশের রাজনীতি’ বলেই আখ্যায়িত করেছেন তিনি। একইসঙ্গে বাঙালি তাকে কটাক্ষ করায় কষ্টে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন তিনি।