সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল নন্দিনী দিদি। ভাইরাল হওয়া মানেই ট্রোলের শিকার হওয়া। আর ঠিক সেরকমই প্রায় সময় নন্দিনীকে (Nandini Di) ট্রল হতে দেখেছি আমরা। তাঁর আসল নাম মমতা গঙ্গোপাধ্যায় হলেও সোশ্যাল মিডিয়া তথা ডালহৌসি চত্বরে তিনি নন্দিনী দিদি (Nandini Di) বলেই পরিচিত। ডালহৌসি চত্বরে যাবেন আর তাঁর হাতের খাবার খাবেন না এরকম কম মানুষই আছেন। তাঁর হাতের আমিষ খালি নাকি সকলের খুব প্রিয়।
সম্প্রতি আবারও তাঁর এক ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। অফিস পাড়ায় বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি পাইস হোটেল চালান তিনি। দোকানটি যদিও তাঁর বাবার খোলা, তবে পড়ে তিনি বাবার হাতে হাত মিলিয়ে দোকানের প্রচার চালিয়েছেন। খুব বেশি বছরের নয়, বিগত দু’বছরের মধ্যেই তাঁর দোকানের বেশ প্রচার বেড়েছে। সম্প্রতি তিনি বেশ ভাইরাল। আর সেই ভাইরালের জেরে আগে যেখানে দিনে ২০-৩০ জন লোক লোক হত, এখন সেখানে প্রায় ১০০-র কাছাকাছি গ্রাহক আসে তার দোকানে।
আর সকল গ্রাহকই যে ভালো হবে তা নয়, বাজে-ভালো মিশিয়ে সকলের সাথেই চলতে হয় তাঁকে। তার মাঝেই ঘটে গেল অঘটন। ভাইরাল হওয়ার পর তার উপার্জন যেমন বেড়েছে তেমনই বেড়েছে তাঁকে নিয়ে সমালোচনাও। তাই প্রশংসা যেমন আছে তেমন আছে নিন্দাও। সম্প্রতি তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক বৃদ্ধকে চড় থাপ্পড় মারছেন নন্দিনী। বিশাল গর্জে উঠেছে তিনি এবং তাঁর বৃদ্ধ বাবাও।
তবে হঠাৎ এমন রূপ ধারণ এমনি তো কেউ করেনা, এর পিছনে রয়েছে বিরাট কারণ। সম্প্রতি এক ইউটিউবার পৌঁছেছিলেন নন্দিনী দিদির দোকানে। তিনি সেই ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘২০২৩ এসে আমাদের এখনো এরকম কেন দেখতে হবে আজ আমাদের প্রিয় নন্দিনীদিদির সাথে হয়েছে হয়তো বা এরকম অনেক মেয়ের সাথে হয়ে থাকে। কেন হলো এই রকম আচরণ নন্দিনী দিদির সাথে?’ ভিডিওর পোস্ট হতেই স্বাভাবিকভাবেই শুরু করে বিতর্ক। নন্দিনী দিদির বৃদ্ধের প্রতি এরূপ আচরণ নিয়ে নানান মন্তব্য করতে থাকেন অনেকেই।
কেউ কেউ বলেন, ‘এরকম একজন বয়স্ক লোকের গায়ে এভাবে হাত তোলা উচিত হয়নি’। আবার কারোর বক্তব্য, ‘যে যাই বলুক না কেন, এই মহিলার ব্যবহার ভালো নয়।’ তবে এর পেছনে আসল ঘটনাটা কি জানেন? খোঁজ নিতেই জানা গেল, ঐ ব্যক্তি নাকি প্রায়শই উত্যক্ত করত নন্দিনী দিদিকে। সেদিনও একই উদ্দেশ্যে তিনি সেখানে এসেছিলেন। ভিডিওতেই নন্দিনী দিদিকে স্পষ্ট বলতে শোনা যায়, “এ এরকম রোজ করে। প্রায়ই গায়ে, পিঠে চিমটি কেটে দিয়ে চলে যায়। রোজ এখানে দাঁড়িয়ে থাকে। এই বুড়ো এবং আরো একটা লোক আছে।” আসল সত্য ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চুপ হতে বাধ্য হয়েছে নিন্দুকদের দল।