জি বাংলার ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাঁটা’র (Jowar Bhanta) গল্প এবার এমন এক মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে অতীতের চাপা যন্ত্রণা নতুন করে মাথা চাড়া দিচ্ছে। ঋষির মুখে হঠাৎ করে হরিপ্রসাদ মিত্রের নাম শোনা মাত্রই নিশার ভেতরে পুরনো ক্ষত যেন আবার টনটন করে ওঠে। সেই নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিশ্বাসভঙ্গ, অপমান আর এক ভাঙা বিয়ের মণ্ডপ, যেখানে প্রতারণার আঘাত সহ্য করতে না পেরে শেষ নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন তাঁর বাবা। এতদিন যে স্মৃতি চাপা ছিল, ঋষির একটিমাত্র কথাতেই তা আবার জীবন্ত হয়ে ওঠে নিশার মনে।
নিশা জানে না, তাদের বাবার মৃ’ত্যুর পেছনের আসল সত্যটা কতটা জটিল। ঋষি নিজের দায়িত্ব পালন করে পুরো টাকা মিটিয়েছিলেন, কিন্তু শঙ্খ আর মেসোমশাই সেই টাকা হরিপ্রসাদ মিত্রের হাতে পৌঁছতে দেয়নি। উলটে সমস্ত দোষ এসে পড়েছিল ঋষির ঘাড়ে। এই অন্ধকার সত্য আজও অজানা নিশা ও উজির কাছে। তাঁদের চোখে ঋষির পরিবারই দোষী আর সেই ভুল বোঝাবুঝির ওপর দাঁড়িয়েই তৈরি হয়েছে প্রতিশোধের আগুন।
উজিও বুঝতে পারছে না, নিজের চারপাশে কী ভয়ানক খেলা চলছে। বাবার নাম শুনে শঙ্খ আর মেসোমশাইয়ের অস্বস্তি, মুখের ভাব বদলে যাওয়া, সব ছোট ছোট ইঙ্গিত যেন তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে। মনে প্রশ্ন জাগেছে, সত্যিই কি বাবার মৃ’ত্যুর সঙ্গে ওদের কোনও যোগ নেই? কিন্তু তার আগেই ঘটনাপ্রবাহ এমন দিকে এগোচ্ছে, যেখানে ভাবার সময়টাই আর থাকছে না। ধারাবাহিকের সদ্য প্রকাশিত প্রোমোতে দেখা যায়, গল্পে এবার আসতে চলেছে ঝড়!
পারিবারিক গুরুদেবের কাছ থেকে উপযুক্ত দিনক্ষণ যেন, আসানসোলে ভিত পুজো উপলক্ষে ব্যানার্জি পরিবার একত্রিত হয়েছে। বাইরে থেকে সবটাই যেন স্বাভাবিক, পুজোর আয়োজন, পারিবারিক ব্যস্ততা। অথচ আড়ালে নিশা ভয়ঙ্কর এক পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেছে! তার মনে দৃঢ় বিশ্বাস, বাবার অপমান আর মৃ’ত্যুর বিচার এই মাটিতেই হবে! দূরে লুকিয়ে থেকে সে ঘোষণা করে, আজই সে প্রতিশোধ নেবে। একদিকে উজি পুজো করছে আর দূরে লুকিয়ে নিশা বলছে, “আজকেই শেষ হবে ঋষি!”
আরও পড়ুনঃ পর্দার গল্প নয়, বাস্তব জীবনের অনুভূতিই ছিল ‘প্রজাপতি’র প্রাণ! রুক্মিণীর ও রুক্মিণীর মায়ের জীবনের বাস্তব যন্ত্রণা নিয়েই ছবি বানিয়েছেন দেব! ‘প্রেমিক হোক তো দেবের মতো’ বলছে নেট দুনিয়া
এক মুহূর্তেই সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায়। এরপর নিশার হাতে থাকা রিমোটের একটিমাত্র বোতাম চাপতেই ঘটে যায় ভয়াবহ বিস্ফো’রণ। ধোঁয়া আর আতঙ্কের মাঝে ঋষির গলা ফেটে বেরিয়ে আসে, “জ্যোতি!” সেই চিৎকার শুনে নিশার বুক কেঁপে ওঠে। প্রতিশোধের আগুনে অন্ধ হয়ে সে বুঝতেই পারেনি, সেই মুহূর্তে জীবন-মৃ’ত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে তার নিজের বোন উজি। গল্প এবার এমন এক সন্ধিক্ষণে, যেখানে প্রতিশোধ আর ভালোবাসা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। পরিণতি কোন দিকে যাবে, তা জানার অপেক্ষায় দর্শকরা?
