আর.জি.কর (R.G.Kar) কান্ডের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছেন বাংলার মানুষ। কলকাতার রাজপথ থেকে শহরতলী গ্রামের অলি-গলি আক্রান্ত প্রতিবাদের ঝড়ে। প্রতিবাদ মুখর জনতার একাংশ সবকিছুর জন্য আঙুল তুলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের বিরুদ্ধেই। আর একটাকে কাজে লাগিয়েছেন বিরোধীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চেয়ে গলা চড়িয়েছেন তারা। সবমিলিয়ে বেশ কোনঠাসা হয়ে পড়েছে গোটা তৃণমূল শিবির।
সম্প্রতি এই কোনঠাসা পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বিতর্কিত মন্তব্য শোনা গেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গেছিল, “‘আমাকে অনেক গালাগাল দিয়েছে, অসম্মান করেছে। বলেছিলাম বদলা নয়, বদল চাই। কিন্তু আজ বলছি যেটা করার দরকার, সেটা আপনারা ভালো বুঝে করবেন। আমি অশান্তি চাই না। যে আপনাকে রোজ কামড়াচ্ছে, তাকে কামড়াবেন না, কিন্তু ফোঁস তো করতে পারতে পারেন”। এই মন্তব্যের পর থেকেই নানান জায়গায় ‘ফোঁস’ করছেন তৃণমূলের নেতানেত্রীরা।
এরপরেই ‘ফোঁস’ করে ওঠেন তৃণমূল নেত্রী লাভলি। সম্প্রতি লাভলি মৈত্র সোনারপুরের একটি সভা থেকে রীতিমত হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “বদল ২০১১ সালে হয়েছিল। ২০২৪ সালে এবার বদলা হবে”। তিনি আরও বলেন ” তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে যাঁরা আঙুল তুলবেন সেটা নামানোর ব্যবস্থা করব”। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আছেন জানিয়ে তার দিকে আঙ্গুল তোলা বিরোধীদের উদ্দেশ্যে লাভলি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে কেউ আঙুল তুললে সেটা কী করে নামাতে হয়ে আমরা খুব ভালো জানি। শান্ত আছি, কিন্তু দুর্বল নই”।
লাভলি মৈত্রর এই হুমকির বিরোধীতা করেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে দিলেন বার্তা যা সমাজ মাধ্যমে আসতেই তৈরি করেছে চাঞ্চল্য। বার্তার মাধ্যমে নেটিজেনদের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। এদিন জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিলে পা মিলিয়ে ছিলেন শ্রীলেখা। প্রথমদিন থেকেই আর.জি.করের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি । বারংবার পথেও নেমেছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিলে হাঁটতে হাঁটতেই কটাক্ষ করলেন লাভলি মৈত্র কে।
আরও পড়ুন: আশা জাগিয়েও টিআরপি নিম্নমুখী! জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে নায়ক-নায়িকা জুটি
এদিন মিছিলের মধ্যে থেকেই শ্রীলেখা মিত্র চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন। তিনি বলেন, “লাভলি মৈত্রর মতো মানুষকে আপনারাই ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। এঁদের এত বড় স্পর্ধা যে তেল মারতে নাড়তে ভুলে গিয়েছেন কোথায় কী বলতে হয় আর কোথায় কী বলতে হয় না। আপনার নিজেরাই প্রতিজ্ঞা করুন যে এই লাভলি মৈত্রর মতো মানুষদের চিকিৎসা করবেন না”। তিনি আরও বলেন, ” তোমরা চিকিৎসক হিসেবে না বলতে পারো আমি সাধারণ নাগরিক হয়ে তো বলতেই পারি। উনি তোমাদের কসাই বলেছেন। এত ঔদ্ধত্য কীসের? এত স্পর্ধা ভালো নয়। বেশি বার বাড়লে ঘাড় ধরে নামিয়ে দাও। এই স্পর্ধা যেন কারও না হয়। আন্দোলনটাকে ছোট করতে দিও না”।