জি বাংলার ‘জোয়ার ভাঁটা’ (Jowar Bhanta) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, উজি সকাল হতেই দিদির সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে তার বাড়ি যায়। সেখানে আগে থেকেই নিশা গয়না বিক্রি করতে যাবে বলে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। হঠাৎ করে উজিকে দেখে অবাক হয়ে যায় সে, উজি জানতে চায় যে কেন দিদি তার সঙ্গে কথা বলছে না! নিশা বলে যে শত্রুকে বাঁচাতে গিয়ে উজি তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তাই তাঁর থেকে দুরত্ব বজায় রাখতে চায়।
এত তাড়াহুড়ো করে কোথায় যাচ্ছে নিশা জানতে চায় উজি, কিন্তু সে কিছু না বলেই বেরিয়ে যায়। নিশা বাড়ি থেকে বেরোতেই পুলিশের কিছুলোক পিছু নেয়। নিশা ভানুর ঠিক করা পরিত্যক্ত স্টুডিওতে গিয়ে ওঠে। সেখানে ছদ্মবেশ ধারণ করে তৈরি হয়ে যায় সে। অন্যদিকে, অফিসার জিৎ বসুও ছদ্মবেশে তৈরি আছে যে নিশা গয়না নিয়ে গেলেই হাতেনাতে ধরে ফেলবে। এদিকে দিদি আবার কোন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে, বুঝতে না পেরে উজি সারা বাড়ি প্রমাণ খুঁজতে থাক।
শেষে কিছু না পেয়ে, শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসে সে। এদিকে ঋষি আসানসোলের কেনা জমিতে এবার গরিবদের জন্য আবাসন বানানোর কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করছে। ওই জমি সে উজির বাবার কাছ থেকেই কিনেছিল, তাই ভিত পুজোতে উজির বাবা আর উজিদেরও নিমন্ত্রণ করতে চায়। কিন্তু ঋষি তো জানেই না যে তার জামাইবাবু এবং মেসোমশাইয়ের জন্য প্রতারিত হয়ে মারা গেছে উজির বাবা। আর তার প্রতিশোধ নিতেই উজি এবং নিশা ছদ্মবেশে এখানে এসেছে।
ঋষি চায় ওই জমির ভিত পুজোটা উজি ওরফে জ্যোতি করুক। বাড়ির সবাইকেও থাকতে অনুরোধ করে। যদিও ওই জমিটার কথা শুরু হতে জামাইবাবু এবং মেসোমশাই ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে, আপত্তি জানাতে শুরু করে। এদিকে ঋষির দিদিও জানিয়ে দেয় যে তার চুরি যাওয়া ১২ কোটির গয়না না ফিরে পাওয়া পর্যন্ত কোথাও যাবে না। ঋষি এই ব্যাপারে পুলিশকে ফোন করে জানতে পারে, আজকে পুলিশে রেড করতে যাচ্ছে এমন একটা জায়গায় যেখানে ১২ কোটি গয়নার বিক্রি করতে আসছে একজন।
আরও পড়ুনঃ ‘আগে কল্পনার গণ্ডিতে থাকতাম, ওর হাত ধরেই বাস্তবের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি’ শীতের মরশুমে রণজয়ের সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায়কে কী স্বীকৃতি দিলেন শ্যামৌপ্তি?
পুলিশের সন্দেহ এই গয়নাটাই ঋষিদের, আর যদি নাও হয় তো ওই লোকটার সূত্র ধরে আসল অপরাধী কাছে পৌঁছানো যাবে। সবটা শুনে উজি খুব ভয় পেয়ে যায় নিশার জন্য। বারবার চেষ্টা করেও ফোনে পায় না সে নিশাকে, এরই মধ্যে লক্ষ্য করে তার কথা শোনার জন্য সারা ঘরে কেউ মাইক লাগিয়ে রেখেছে! একে একে মাইক খোলার পর সে জানতে পারে এগুলো ঋষির দিদিরা লাগিয়েছে উজি ও নিশাকে সন্দেহ করে। ওদিকে নিশা ধরা পড়ে যায় পুলিশের কাছে, ব’ন্দুক তাক করে তার ছদ্মবেশ খুলতে বলে পুলিশ।
