আজকালকার সমাজে অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতন আবার অনেকেই নন। আর তাই জেনে রাখা উচিৎ এই তীব্র কর্মব্যস্ত সমাজে নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রত্যেকটি মানুষের সকালের ব্রেকফাস্ট করা উচিত রাজার মতো। কারণ গোটা রাত পেট খালি থাকার পর সকালে তাকে পর্যাপ্ত খাবার দিতে হয়। আর তাই নিয়ম করে ব্রেকফাস্ট সবার জন্যই খুব জরুরি। অনেকেই কিন্তু আবার মনে করেন সকালে ব্রেকফাস্ট না করলে তাতে নাকি ওজন কমে। কিন্তু না! এই ধারণা একেবারে ভ্রান্ত। এতে হিতে বিপরীত হয়।
ব্রেকফাস্ট স্কিপ করলে ওজন কমে না। বরং বাড়তে থাকে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা। কিন্তু রোজ রোজ কী এমন ব্রেকফাস্ট বানানো যায় যা স্বাদেও হবে ভালো আর পুষ্টিকর? তা নিয়ে প্রায় সবাই চিন্তায় থাকে। চলুন তাহলে নতুন কিছু করা যাক। এখন আমের মরশুম চলছে।আম দিয়ে হরেকরকম বাহারি পদ তৈরি করে খাওয়ার এটাই সময়।
আর আম খেতেও কিন্তু ভীষণ ভালোবাসে এমন বাঙালি। চলুন এবার তাহলে এই অতি প্রিয় আম দিয়ে তৈরি করে নেওয়া যাক একটি নতুন পদ।এটি খেতেও কিন্তু খুবই মুখোরোচক এবং উপাদেয়। গুজরাটি এই পদে আনা যাক একটু টুইস্ট। ধোকলা খেতে অনেকেই ভীষণ পছন্দ করেন। এবার শিখে নিন ‘কাঁচা আমের ধোকলা।’ টক-ঝাল এই পদটি খেতে লাগবে কিন্তু দারুণ।
এই পদের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ: ছোলার ডাল- ১ কাপ, ইনো পাউডার (রেগুলার), ১ টেবিল চামচ, কাঁচা লঙ্কা কুচানো, চিনি- ১ চা চামচ, সাদা তিল- ১ টেবিল চামচ, কালো সর্ষে- ১ টেবিল চামচ, গোটা জিরে-১ চা চামচ, একটা গোটা পাতিলেবুর রস, কাঁচা আম (কুরিয়ে রাখা)-১ কাপ, সাদা তেল-১ টেবিল চামচ, ৫-৬ টি কারিপাতা, কুচনো ধনেপাতা-১ কাপ, নুন – স্বাদ অনুযায়ী
প্রণালী-এই রান্নাটি জন্য ছোলার ডাল দু’-তিন ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর সম্পূর্ণ জল ঝরিয়ে ভালো করে বেটে নিন। এবার ওই বাটা ডালের মধ্যে লেবুর রস, ইনো পাউডার, নুন এবং সাদা তেল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। আর এরপর তাতে মেশান আগে থেকে কুরিয়ে রাখা কাঁচা আম।
এরপর স্টিলের বা অ্যালুমিনিয়মের একটা টিফিন বক্সে ভালো করে সাদা তেল মাখিয়ে তাতে তৈরি করে রাখা ব্যাটারটি ঢেলে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট ভাপে বসান। এরপর ১০-১৫ মিনিট পর একটা টুথপিক দিয়ে বা চামচের পিছন দিয়ে দেখে নিন যে ধোকলা তৈরি হয়েছে কিনা। যদি টুথপিক ঢুকিয়ে বের করার সময়ে ধোকলার ব্যাটার না লেগে থাকে, তা হলে বুঝবেন যে, আপনার কাঁচা আমের ধোকলা তৈরি। আর যদি গায়ে ভাপানো ব্যাটার লেগে যায়, তা হলে বুঝবেন আরও কিছুক্ষন ভাপ দিতে হবে। এরপর ধোকলা তৈরি হয়ে গেলে একটা প্লেটে বের করে নিয়ে পছন্দমতো আকারে কেটে নিন।
এরপর একটা প্যানে অল্প সাদা তেল গরম করে তাতে সর্ষের ফোড়ন আর গোটা জিরে ফোড়ন দিয়ে কারিপাতা, চিনি, লেবুর রস, কাঁচা লঙ্কা আর আধ কাপ জল ঢেলে দিন। মিনিটপাঁচেক ফুটিয়ে ধোকলার উপরে ঢেলে দিন। আর উপর থেকে কুচনো ধনেপাতা ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন কাঁচা আমের টক-ঝাল-মিষ্টি ধোকলা।