তিনি বাংলা টেলিভিশন দুনিয়ার ভীষণ রকম জনপ্রিয় এবং পরিচিত মুখ। যে কোনও চরিত্রেই তিনি অসামান্য। টেলিভিশন হোক বা সিনেমা যে কোনও চরিত্রেই অপরিহার্য তিনি। অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন চেহারা ও বলিষ্ঠ অভিনয়ের সুবাদে অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু কিন্তু দর্শকদের মধ্যে দারুণ পরিচিত এবং জনপ্রিয়।
বিভিন্ন ধারাবাহিকে এবং সিনেমায় মা-কাকিমার চরিত্রে অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু ঘ্যানঘ্যানে কোনও চরিত্র নয়। তাঁর চরিত্র সবসময় হয়েছে বলিষ্ঠ। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বাঙালি দর্শকদের কাছে বিশেষ ভাবে পরিচিত ছিলেন পিলু ধারাবাহিকের ‘মনিমা’ হিসেবে। যদিও স্টার জলসার বধূবরণ ধারাবাহিকে তাঁর অসাধারণ অভিনয় দিল জিতে নিয়েছিল দর্শক।
একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তি পায় অভিনেত্রীর সিনেমা ‘দিলখুশ।’ আর ফের একবার একটি বলিষ্ঠ চরিত্রে তাঁকে দেখা যেতে চলেছে। সান বাংলার পর্দায় রূপসাগরে মনের মানুষ ধারাবাহিকে আসতে চলেছেন এই অভিনেত্রী। নিজের অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জিতে নিতে আরও একবার টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যাবে অভিনেত্রী অঞ্জনা বসুকে।
উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়েই আবারও ছোট পর্দায় কামব্যাক করছেন অভিনেত্রী রুকমা রায়। তাঁর শাশুড়ি মায়ের চরিত্রে হয়ত দেখা যেতে চলেছে অঞ্জনা বসুকে। জানেন কি কিছুদিন আগেই মৃত্যুমুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন এই অভিনেত্রী। দীর্ঘ একটা বছরের শারীরিক অসুস্থতা কাটিয়ে আবারও ফিরেছেন তিনি। যদিও ফেরার আশা ছিল না বলেই জানিয়েছেন অঞ্জনা বসু।
একটা সময় তিনি ধরে নিয়েছিলেন তিনি আর কোনদিনও লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের সামনে এসে দাঁড়াবেন না। যদিও সেই সময় অভিনয় করা নয় বরং বাঁচাটাকেই অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন তিনি। অভিনেত্রী সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন সেই সময় নিজের প্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীদের আবারও টিভির সামনে বসে দেখবেন এটাই তাঁর কাছে ছিল বড় পাওয়া। শারীরিক অসুস্থতা এখন কমলেও অ্যাংজাইটি থেকে গেছে তাঁর। মেডিটেশনেও কাজ হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন তিনি।
অভিনেত্রীর কথায় এখন আর কোন কিছুই তাঁকে বিচলিত করে না। বলা যায় জীবন দর্শন বদলে গেছে তাঁর। মনে করেন কপালে যা আছে সেটাই ঘটবে। তার থেকে বেশি বা কিছু কম কেউ পাবে না। শুধু চেষ্টা করে যেতে হবে নিজেদের। জানা গেছে, একদিন কাজ করতে করতে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অঞ্জনা বসু।
জানা যায়, একবার নয় দু’দুবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল তিনি। শুধুমাত্র করোনায় রক্ষা নেই সেইসঙ্গে আবার ডেঙ্গুও হয়েছিল তাঁর। আর যার ফলে অভিনেত্রীর ফুসফুস, কিডনি সমস্ত কিছু নষ্ট হয়ে যায়। এমনকী তাঁর সুগার ছিল না সেই সুগারও এখন তাঁর দেহে বাস করেছে। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর জরায়ুতেও একটা বড় টিউমার ছিল। সেই টিউমারটাও ওই একই সময়ে অপারেশন হয়। বাঁচার আশা নাকি একেবারেই ছিল না তাঁর। তবে কঠিন এই জীবনযুদ্ধে জিতে ফিরে এসেছেন তিনি। ফিরে এসেছেন অভিনয় দুনিয়ায়।